ফাঁস হলো নোবিপ্রবির ‘পেশাজীবি লীগ’-এর গোপন তৎপরতা - পাবলিকিয়ান টুডে | বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ

ফাঁস হলো নোবিপ্রবির ‘পেশাজীবি লীগ’-এর গোপন তৎপরতা

NSTU CORRESPONDENT প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২৫, ০০:৪৫

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘পেশাজীবি লীগ’ নামে গোপনে তৎপরতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি “পেশাজীবী লীগ নোবিপ্রবি” নামক একটি মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

গতকাল ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) ‘নোবিপ্রবি টিভি’ নামক একটি ফেসবুক পেজ বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রুপের অ্যাডমিন মেজবাহ উদ্দিন পলাশ, যিনি আওয়ামী শাসনামলে নোবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের পদধারী নেতাও ছিলেন। পলাশ ছাড়াও উক্ত গ্রুপে তৎকালীন আওয়ামীপন্থী বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ফেসবুক আইডিও দেখা গেছে।

৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রুপের তথ্য ফাঁস হওয়ায় গ্রুপের অ্যাডমিন ও নোবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পলাশ গ্রুপের সদস্যদের উদ্দেশে আল্লাহর গজব দিয়ে গ্রুপ ত্যাগ করেন। গ্রুপে এই আওয়ামী লীগ নেতা সর্বশেষ মেসেজে বলেন, “আপনারা যারা এই গ্রুপে আমি অ্যাডমিন আছি এবং আমাদের তথ্য ছাত্রদের দিয়ে আমাদের হয়রানি করাচ্ছেন, আপনাদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে, মনে রাখবেন।”

গ্রুপের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে পলাশ বলেন, “এ গ্রুপটি অনেক আগের, কিন্তু সম্প্রতি গ্রুপের কার্যক্রম দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আপনার কাছে মনে হচ্ছে গ্রুপটি বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।”

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের এক জরুরি সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

আবার সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলোর প্রেক্ষিতে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী জারি করা হয়েছে।