গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সরাসরি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠছে এক যৌথ নিরাপত্তাকাঠামো, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশও যুক্ত থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, এ নিশ্চয়তা হামাসকে চুক্তিতে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
পেন্টাগনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ সেনা ইতিমধ্যে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন। এ জন্য একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে, তবে কোনো মার্কিন সেনা গাজার ভেতরে প্রবেশ করবে না।
মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে কাতার, মিসর, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা। এই দেশগুলোর সেনারা গাজার ভেতরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার কাজে অংশ নিতে পারেন। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা অবশেষে এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে পেরে সন্তুষ্ট। তবে কিছু অংশে পরিবর্তন আসতে পারে।” তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, “যতই ইতিবাচক অগ্রগতি হোক, এটি এখনো খুব নাজুক একটি সময়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স জানিয়েছে, ২০০ মার্কিন সেনা যৌথ টাস্কফোর্সের মূল কাঠামো গড়ে তুলবে, যেখানে অন্যান্য দেশও যুক্ত থাকবে। তারা একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করবে যাতে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রক্ষা করা যায়।
সব মিলিয়ে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে যে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ছিল, তা কিছুটা কেটে গেছে। তবে এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে মাঠপর্যায়ে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতার ওপর।
এদিকে ইসরায়েল সরকার নিশ্চিত করেছে, তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন দিয়েছে। আল জাজিরা আরবি জানিয়েছে, অনুমোদনের পর থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা বন্ধ রয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, চুক্তি কার্যকর হতে আরও প্রায় ২৪ ঘণ্টা লাগতে পারে।
পাবলিকিয়ান টুডে/ এম | ফেসবুক