মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির দশ’ টি গবেষণা প্রবন্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন - পাবলিকিয়ান টুডে | বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির দশ’ টি গবেষণা প্রবন্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭:৩৬

আনোয়ার হোসাইন, এমউইউ প্রতিনিধি

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির গবেষণা সংগঠন Metropolitan University Research Society (MURS) সদস্যদের রচিত ১০টি গবেষণা পত্রের সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন “International Conference on Challenges and Trends in Arts and Social Sciences (ICCTASS 2025)”-এ।

এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করবে American International University – Bangladesh (AIUB), যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষক, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো ২১শ শতাব্দীর সামাজিক পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর ও টেকসই উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে শিল্প ও সমাজবিজ্ঞানের আন্তঃসম্পর্ক বিশ্লেষণ করা।

গৃহীত ১০টি গবেষণাপত্রের মধ্যে ৪টি সরাসরি উপস্থিতিতে (On-site) এবং ৬টি অনলাইন মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। এই সাফল্য শুধু মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনের জন্য এক গর্বের অর্জন।

গবেষণাগুলোর মূল থিম ঘিরে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইন সংস্কার, পরিবেশ নীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সাহিত্য ও শিক্ষা বৈষম্য যা আধুনিক বিশ্বের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

গৃহীত গবেষণাপত্র ও গবেষকদের তালিকা

শাহরিয়ার আলম মেহেদী তাপাদার, মো. তারেক মিয়া ও জয়ন্ত সেন
“Indigenous Wisdom and Environmental Sustainability in Bangladesh.”
  ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন যাপন থেকে টেকসই জীবন চর্চার শিক্ষা বিশ্লেষণ।

রায়হান আহমেদ তালুকদার, নুসরাত জাহান দোহা ও তারজিমা হাসান
“Denial of Human Rights through the Implementation of Dark Laws.”
বাংলাদেশের আইন কাঠামো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্লেষণ।

শাহরিয়ার আলম মেহেদী তাপাদার, শহিদুর রহমান শাকিব, রিনজুমান রাহা
“AI and the Future of Political Journalism.”
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ও সামাজিক প্রভাব।

 নিশাত ইয়াছিন
“Future-Proofing Constitutions: Intergenerational Equity for Sustainable Justice.”
প্রজন্মান্তর ন্যায়বিচার ও সংবিধান প্রণয়নের ভবিষ্যৎ ভাবনা।

 উর্মি আক্তার, প্রাপ্তি সিনহা ও পূর্ণা দেবনাথ
“Boundless Ambition and Moral Reckoning: The Tragedy of Doctor Faustus.”
মানব নৈতিকতা, জ্ঞান লাভ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার সংঘাতের সাহিত্য বিশ্লেষণ।

জিকরা ইসলাম জুই, অনিন্দিতা কর, জি. এম. সিফাত ইকবাল, তোফায়েল আহমদ তাপাদার
“Exploring the Economic Potential of Renewable Energy Transition in Bangladesh.”
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে গবেষণা।

 শাহরিয়ার আলম মেহেদী তাপাদার, মুনিরা তাবাসসুম ইতি ও সুষ্মিতা চৌধুরী রিমি
“Carbon Tax in Bangladesh: Navigating Prospects and Challenges.”
বাংলাদেশের কার্বন ট্যাক্স ব্যবস্থার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ।

আরিফ রশিদ, কামাল হোসেন ও তাসনিয়া সুলতানা
“Reforming Article 66: Educational Standards for Bangladeshi MPs.”
সংসদ সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের প্রস্তাব।

শহিদুর রহমান শাকিব, বায়াজিদ হাসান ও মাশরাফি বিন আনাম
“AI in Auditing and Fraud Detection.”
ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা রক্ষায় এআই ব্যবহারের নৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক।

আনিকা তাবাসসুম, তামরিন হোসাইন মাহা ও হৃদিকা দেব
“Closing the Divide: Urban-Rural Educational Equity in Bangladesh.”
শহর-গ্রামের শিক্ষাগত বৈষম্য কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপরেখা।

Metropolitan University Research Society (MURS)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়ঃ “এই অর্জন শুধু গবেষণার নয়, এটি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের বাস্তব প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও শিক্ষার্থী গবেষণায় অনুপ্রাণিত করবে।”

এই অর্জনের পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইমেরিটাস ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তানভীর রহমান চৌধুরী-এর দূরদর্শী নেতৃত্ব, অনুপ্রেরণা ও অব্যাহত সহায়তা।এছাড়া, সহযোগী অধ্যাপক সাইদুর রহমান পলাশ, MURS-এর প্রেসিডেন্ট, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সম্মানিত শিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়ক গণের একনিষ্ঠ সহযোগিতা এই অর্জন সম্ভব করেছে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই দেশীয় পর্যায়ে গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ICCTASS 2025-এ তাঁদের ১০টি গবেষণাপত্র গৃহীত হওয়া প্রমাণ করে যে, সৃজনশীল চিন্তা, একাডেমিক পরিশ্রম ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা সংস্কৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশ্বমানের গবেষক গড়ে তোলা সম্ভব।