পবিপ্রবিতে এগ্রিকালচার ক্লাবের পথচলা শুরু- দায়িত্বে আবু রায়হান ও মনোজ - পাবলিকিয়ান টুডে | বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ

পবিপ্রবিতে এগ্রিকালচার ক্লাবের পথচলা শুরু- দায়িত্বে আবু রায়হান ও মনোজ

PSTU CORRESPONDENT প্রকাশ: ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৮:০৪

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) এগ্রিকালচার ক্লাবের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে। এরই লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন মো. আবু রায়হান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মনোজ কুমার বর্মন। 

১লা নভেম্বর(শনিবার) এগ্রিকালচার ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ডীন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন ও উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ আবু ইউসুফ এবং অধ্যাপক ড. জহুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। 

২০২৫-২৬ সেশনের জন্য মোট ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে শাহরিয়ার ইকবাল লিমন, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ মাজহারুল ইসলাম অনিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও আরও ১১ টি উইং এর মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 

এগ্রিকালচার ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পাবার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন,”এগ্রিকালচার ক্লাব, পবিপ্রবি’র ২০২৫–২০২৬ মেয়াদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের। এই ক্লাব কৃষি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশ, উদ্ভাবনী চিন্তা ও একতার প্রতীক। আমি বিশ্বাস করি, নতুন নির্বাহী কমিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্লাবের কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।”

সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার বর্মন বলেন,”কৃষি অনুষদের নতুন এই পথচলায় যুক্ত হতে পেরে আমি একইসাথে আনন্দিত ও গর্বিত।কৃষি ক্লাব শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, এটি কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের এক প্রাণের মিলনস্থল। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা, তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো।আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ও একতার মাধ্যমে কৃষি অনুষদকে আরও সৃজনশীল ও কল্যাণমুখী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।”

নবগঠিত এগ্রিকালচার ক্লাব সম্পর্কে কৃষি অনুষদের ডীন ও ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন,”আমি নবগঠিত কৃষি ক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আশা করি তারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে, সেশন জট নিরসনে, এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি, নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে তারা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।”

পাবলিকিয়ান টুডে/ এসএইচ | ফেসবুক