সংগৃহীত ছবি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণার দিন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট এলাকায় বিজিবি, ডিএমপি ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রবেশ মুখে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সেনা সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে। কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তার খাতিরে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান এলাকায় অবস্থান করছে। সকাল ৮টার পর সেনাবাহিনীর টহলদলও গেটের কাছে পৌঁছেছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধবার থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গত রাতে ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও মেসে তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
মামলাটির রায় ঘোষণার দায়িত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। গত ২৩ অক্টোবর শুনানি শেষে ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আদালতে পলাতক দুই আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
পাবলিকিয়ান টুডে/ এম | ফেসবুক