যে ভালোবাসা ইমানের অংশ হয়ে গেল—সাহাবিদের নবীপ্রেমের গল্প”  - পাবলিকিয়ান টুডে | বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ

যে ভালোবাসা ইমানের অংশ হয়ে গেল—সাহাবিদের নবীপ্রেমের গল্প” 

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৪৮
ছবি সংগৃহীত

জাহেলি যুগের অন্ধকারে যখন মানবতা হারিয়ে গিয়েছিল—যখন অন্যায়, হানাহানি আর রক্তপাত ছিল প্রতিদিনের বাস্তবতা—ঠিক তখনই আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির প্রতি অনন্ত রহমত হিসেবে পাঠালেন তাঁর প্রিয় রাসুল, মুহাম্মাদ (সা.)-কে। তিনি এসেছিলেন অন্ধ চোখে সত্যের আলো দিতে, বধির কানে হিদায়াতের সুর শোনাতে, বিভ্রান্ত সমাজকে সঠিক পথ দেখাতে।

সাহাবিরা নবীজির (সা.) মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন সেই আলোর উৎস, যে উৎসে মেটে আত্মার তৃষ্ণা। তাঁরা পেয়েছিলেন এক সীমাহীন স্নেহময় হৃদয়, যার ভালোবাসা ছিল নিঃস্বার্থ, অকৃত্রিম ও সর্বব্যাপী।

কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নবীজির এই করুণাময় স্বভাবের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে:
তোমাদের কাছে এসেছে একজন রাসুল, তোমাদেরই মধ্য থেকে। তোমাদের কষ্ট তাঁর কাছে কষ্টকর; তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি দয়ালু ও করুণাময়।
— সুরা তাওবা, আয়াত: ১২৮

এই আয়াত সাহাবিদের হৃদয়ের অবস্থা প্রকাশ করে। তাঁরা নবীজিকে শুধু নেতা বা শিক্ষক হিসেবে নয়, বরং জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভালোবেসেছিলেন। তাঁদের সেই ভালোবাসা ছিল এমন গভীর যে, তা ইমানের অংশে পরিণত হয়েছিল।

কোরআনে আল্লাহ আরও বলেন:
বল, তোমাদের পিতা, সন্তান, ভাই, স্ত্রী, আত্মীয়, অর্জিত সম্পদ, যে ব্যবসা ক্ষতির ভয় করো, যে বাড়িঘর পছন্দ করো—যদি এসব আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও তাঁর পথে জিহাদের চেয়ে প্রিয় হয়, তাহলে অপেক্ষা করো আল্লাহর আদেশ আসা পর্যন্ত।
— সুরা তাওবা, আয়াত: ২৪

এই আয়াত সাহাবিদের হৃদয়ে গেঁথে দিয়েছিল এক অবিচল সত্য—মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসাই ইমানের পরিপূর্ণতার নিদর্শন।

তাঁদের এই সীমাহীন ভালোবাসার পেছনে কারণ ছিল গভীর ও বাস্তব। তাঁরা নিজ চোখে দেখেছেন নবীজির অসাধারণ চরিত্র, তাঁর কোমলতা, উদারতা ও ন্যায়ের দৃষ্টান্ত। তাঁকে অনুসরণ করে তাঁরা পেয়েছিলেন দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি, আত্মার মুক্তি।

নবীজির প্রতি সাহাবিদের এই অনন্য ভালোবাসা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য আদর্শ। তাঁদের সেই ভালোবাসা শেখায়—নবীপ্রেম কেবল আবেগ নয়, বরং বিশ্বাসের পরিপূর্ণতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এসএইচ | ফেসবুক