০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক দশকের পথে তবুও চালু হয়নি চবির বন্ধবন্ধু হল, নির্মাণ সময় পদ্মাসেতুর চেয়েও বেশি!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৭:৪৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 14

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু হলটি নির্মিত হয়েছিল ছাত্রদের জন্য একটি আধুনিক আবাসিক সুবিধা প্রদান করার উদ্দেশ্যে, তবে নানা কারণে তার পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হলের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ নয় বছরেও সম্পন্ন হয়নি।
২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি প্রায় ১০ বছর হলেও নানা জটিলতার কারণে সময়মতো শেষ করা সম্ভব হয়নি। বাজেট বরাদ্দের অভাব, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা এবং পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় ‘ইউনিটি ফর স্টুডেন্ট রাইটস’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের সংস্কার ও লোকবল সংকটে বন্ধ থাকা দুই হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন পর্যন্ত করেছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন জানিয়েছিলেন, হলটি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী করে তোলার কাজ চলছে, তবে ডাইনিং সেবা না থাকা এবং নির্মাণাধীন অবস্থায় থাকার কারণে এখনই শিক্ষার্থীদের আবাসন বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সম্প্রতি প্রক্টর ড.তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান,
” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই মাসের মধ্যে ঠিকাদারের নিকট হতে হল বুঝে পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু আপাদ মস্তক দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার কথা রাখেনি। বারবার সময় বাড়ছে, অনেকটা সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের মতনই অবস্থা। ভবিষ্যতে হয়তো নতুন কোন কৌশলের আশ্রয় নিতে হবে। “

বঙ্গবন্ধু হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল উদ্বোধন করা হলেও আসন বরাদ্দ না হওয়ার কারণে চবির আবাসন সংকট আরো তীব্র হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হল সংকটের কারণে প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের কটেজ বা বাসাবাড়িতে থাকতে বাধ্য হন, বিশেষ করে নিম্নআয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু হল চালু হলে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাবে যা তাদের শিক্ষাজীবনে স্থিতিশীলতা আনতে পারে।

শেয়ার করুন

এক দশকের পথে তবুও চালু হয়নি চবির বন্ধবন্ধু হল, নির্মাণ সময় পদ্মাসেতুর চেয়েও বেশি!

প্রকাশিত: ০৭:৪৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু হলটি নির্মিত হয়েছিল ছাত্রদের জন্য একটি আধুনিক আবাসিক সুবিধা প্রদান করার উদ্দেশ্যে, তবে নানা কারণে তার পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হলের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ নয় বছরেও সম্পন্ন হয়নি।
২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি প্রায় ১০ বছর হলেও নানা জটিলতার কারণে সময়মতো শেষ করা সম্ভব হয়নি। বাজেট বরাদ্দের অভাব, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা এবং পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় ‘ইউনিটি ফর স্টুডেন্ট রাইটস’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের সংস্কার ও লোকবল সংকটে বন্ধ থাকা দুই হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন পর্যন্ত করেছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন জানিয়েছিলেন, হলটি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী করে তোলার কাজ চলছে, তবে ডাইনিং সেবা না থাকা এবং নির্মাণাধীন অবস্থায় থাকার কারণে এখনই শিক্ষার্থীদের আবাসন বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সম্প্রতি প্রক্টর ড.তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান,
” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই মাসের মধ্যে ঠিকাদারের নিকট হতে হল বুঝে পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু আপাদ মস্তক দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার কথা রাখেনি। বারবার সময় বাড়ছে, অনেকটা সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের মতনই অবস্থা। ভবিষ্যতে হয়তো নতুন কোন কৌশলের আশ্রয় নিতে হবে। “

বঙ্গবন্ধু হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল উদ্বোধন করা হলেও আসন বরাদ্দ না হওয়ার কারণে চবির আবাসন সংকট আরো তীব্র হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হল সংকটের কারণে প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের কটেজ বা বাসাবাড়িতে থাকতে বাধ্য হন, বিশেষ করে নিম্নআয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু হল চালু হলে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাবে যা তাদের শিক্ষাজীবনে স্থিতিশীলতা আনতে পারে।