০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের লিফট যেন মৃত্যুফাঁদ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৬:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 13

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের লিফট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ থাকলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালেও লিফটে আটকা পড়েন আটজন শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু হলের একটি লিফটে ওঠার পর সেটি হঠাৎই দুই তলার মাঝামাঝি আটকে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আটকা থাকার পর শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লিফটের ইমার্জেন্সি বাটন বারবার চাপলেও কেউ সাড়া দেননি। পরে দরজায় আঘাতের শব্দ শুনে লিফট অপারেটর এসে তাদের উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু হলের লিফট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নতুন নয়। চারটি লিফটের মধ্যে দুটি সবসময়ই বন্ধ থাকে। ফলে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য বাকি দুটি লিফটই ভরসা। তাতেও দেখা যায় নানা সমস্যা। লিফটের সেন্সর কাজ না করায় দরজা অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা আঘাত পাচ্ছেন। এছাড়া লিফটের দরজা খুলতে ও বন্ধ হতে অনেক সময় লেগে যায়, বিশেষ করে ক্লাস চলাকালীন বা জুমার নামাজের সময় এ ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, চারটি লিফট সার্বক্ষণিক চালু থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না। গত ২১ আগস্ট হল প্রশাসন একটি লিফট ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাও সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। ইমার্জেন্সি বাটন কাজ না করার বিষয়টি আমি জানতাম না। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ড থেকে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১৫টি লিফট কেনা হয়েছিল। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের জন্য বরাদ্দ ছিল চারটি। অথচ এর অর্ধেকই সচল নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

২০১৯ সালে লিফট কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ৯ শিক্ষক ইউরোপ সফরে যান। সেই সফরে ১০ দিনের ব্যয়ভার বহন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকৌশল সংস্থা। অথচ শিক্ষার্থীদের অভিযোগে লিফটের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ভোগান্তি কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের লিফট যেন মৃত্যুফাঁদ

প্রকাশিত: ০৬:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের লিফট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ থাকলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালেও লিফটে আটকা পড়েন আটজন শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু হলের একটি লিফটে ওঠার পর সেটি হঠাৎই দুই তলার মাঝামাঝি আটকে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আটকা থাকার পর শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লিফটের ইমার্জেন্সি বাটন বারবার চাপলেও কেউ সাড়া দেননি। পরে দরজায় আঘাতের শব্দ শুনে লিফট অপারেটর এসে তাদের উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু হলের লিফট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নতুন নয়। চারটি লিফটের মধ্যে দুটি সবসময়ই বন্ধ থাকে। ফলে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য বাকি দুটি লিফটই ভরসা। তাতেও দেখা যায় নানা সমস্যা। লিফটের সেন্সর কাজ না করায় দরজা অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা আঘাত পাচ্ছেন। এছাড়া লিফটের দরজা খুলতে ও বন্ধ হতে অনেক সময় লেগে যায়, বিশেষ করে ক্লাস চলাকালীন বা জুমার নামাজের সময় এ ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, চারটি লিফট সার্বক্ষণিক চালু থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না। গত ২১ আগস্ট হল প্রশাসন একটি লিফট ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাও সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। ইমার্জেন্সি বাটন কাজ না করার বিষয়টি আমি জানতাম না। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ড থেকে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১৫টি লিফট কেনা হয়েছিল। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের জন্য বরাদ্দ ছিল চারটি। অথচ এর অর্ধেকই সচল নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

২০১৯ সালে লিফট কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ৯ শিক্ষক ইউরোপ সফরে যান। সেই সফরে ১০ দিনের ব্যয়ভার বহন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকৌশল সংস্থা। অথচ শিক্ষার্থীদের অভিযোগে লিফটের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ভোগান্তি কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।