নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং কলা অনুষদের ডিন ও দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা কালো পতাকা উত্তোলন করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ এবং শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকেই পাকিস্তানি হানাদাররা পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড শুরু করে। ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর তালিকা অনুযায়ী বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. মো. সাইফুল ইসলাম, বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট হাবিবা সুলতানা, অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, দোলন-চাঁপা হলের প্রভোস্ট লাইলী আক্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।