০১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ- ২০২৪’ এর সংস্কার দাবিতে আলোচনা সভা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৪:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 28

জাবি প্রতিনিধি

ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসনামলে প্রণীত খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধন ও যথাযথ সংস্কার’ দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এসোশিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিষ্ট (বিএসিবি) -এর আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ত্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের কামাল উদ্দিন গ্যালারিতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. মেসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যারিটাইম ইউনিভার্সিটির আডভাইজার অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (অ্যাডমিন) ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) -এর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ড. সোহেল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।

আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন বিএসিবি এর আহ্বায়ক মো: মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: শফিকুর রহমান ও অধ্যাপক ফাতেমা খান মজলিশ, সদস্য মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও ড. আব্দুল মোত্তালিব। সভায় সারাদেশের ডায়াগনস্টিক সেক্টরে কর্মরত কয়েকশ বায়োকেমিষ্ট উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপির বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএসিবি’র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান ও আহ্বায়ক মো: মাহবুবুর রহমান ‘খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারা সংযোজিত হওয়ায় স্বস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরীতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা বায়োকেমিষ্টদের অবদান, মেডিকেল ডায়াগনস্টিক ল্যাদের কার্যক্রম, এবং ডায়াগনস্টিক রিপোর্টে সিগনেটরি অথরিটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রারম্ভ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ছাত্র মোঃ সিয়াম হোসেন

আলোচনা সভায় বক্তারা খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারা সংযোজিত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরীতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরীতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভুল এবং পরবর্তীতে তা থেকে রোগের চিকিৎসায় সৃষ্ট ঝুঁকি, ক্ষতি, ও সংকট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রস্তাবিত খসড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, যেকোন ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বিএমডিসির রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ স্বাক্ষর করতে পারবেন না। অর্থাৎ বায়োকেমিষ্টরা যে এতদিন ধরে ল্যাবরেটরি টেস্টের মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে রিপোর্ট সাক্ষর করে আসছেন তা আর করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলে তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং এব্যাপাতে পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ সমন্ধে আলোচনা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে বিএসিবি আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বাস্থ্য সচিব (শিক্ষা ও সেবা) এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন। স্মারকলিপিতে এসব দাবির যৌক্তিকতা এবং বিদ্যমান অধ্যাদেশ সংস্কারের শুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।

সভায় বক্তারা প্রণীত খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক,অগ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধনের মাধ্যমে সেবা খাতে বিভিন্ন ল্যাবরেটরীতে কমরত বায়োকেমিষ্টদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন জরুরি বলে একমত হন।

সভায় উপস্থিত সকলে এব্যাপারে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হন এবং সে লক্ষ্যে শীঘ্রই গণমাধ্যমের সহায়তা নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইনে যথাযথ সংস্কার না করা হলে সম্ভাব্য ঝুঁকি, ক্ষতি, ও সংকটের বিষয় নীতি নির্ধারক ও জনগণের সামনে উপস্থাপন করবার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


জোবায়ের জাকির

শেয়ার করুন

‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ- ২০২৪’ এর সংস্কার দাবিতে আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ০৪:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

জাবি প্রতিনিধি

ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসনামলে প্রণীত খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধন ও যথাযথ সংস্কার’ দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এসোশিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিষ্ট (বিএসিবি) -এর আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ত্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের কামাল উদ্দিন গ্যালারিতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. মেসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যারিটাইম ইউনিভার্সিটির আডভাইজার অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (অ্যাডমিন) ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) -এর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ড. সোহেল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।

আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন বিএসিবি এর আহ্বায়ক মো: মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: শফিকুর রহমান ও অধ্যাপক ফাতেমা খান মজলিশ, সদস্য মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও ড. আব্দুল মোত্তালিব। সভায় সারাদেশের ডায়াগনস্টিক সেক্টরে কর্মরত কয়েকশ বায়োকেমিষ্ট উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপির বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএসিবি’র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান ও আহ্বায়ক মো: মাহবুবুর রহমান ‘খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারা সংযোজিত হওয়ায় স্বস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরীতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা বায়োকেমিষ্টদের অবদান, মেডিকেল ডায়াগনস্টিক ল্যাদের কার্যক্রম, এবং ডায়াগনস্টিক রিপোর্টে সিগনেটরি অথরিটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রারম্ভ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ছাত্র মোঃ সিয়াম হোসেন

আলোচনা সভায় বক্তারা খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারা সংযোজিত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরীতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরীতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভুল এবং পরবর্তীতে তা থেকে রোগের চিকিৎসায় সৃষ্ট ঝুঁকি, ক্ষতি, ও সংকট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রস্তাবিত খসড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, যেকোন ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বিএমডিসির রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ স্বাক্ষর করতে পারবেন না। অর্থাৎ বায়োকেমিষ্টরা যে এতদিন ধরে ল্যাবরেটরি টেস্টের মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে রিপোর্ট সাক্ষর করে আসছেন তা আর করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলে তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং এব্যাপাতে পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ সমন্ধে আলোচনা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে বিএসিবি আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বাস্থ্য সচিব (শিক্ষা ও সেবা) এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন। স্মারকলিপিতে এসব দাবির যৌক্তিকতা এবং বিদ্যমান অধ্যাদেশ সংস্কারের শুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।

সভায় বক্তারা প্রণীত খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক,অগ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধনের মাধ্যমে সেবা খাতে বিভিন্ন ল্যাবরেটরীতে কমরত বায়োকেমিষ্টদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন জরুরি বলে একমত হন।

সভায় উপস্থিত সকলে এব্যাপারে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হন এবং সে লক্ষ্যে শীঘ্রই গণমাধ্যমের সহায়তা নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইনে যথাযথ সংস্কার না করা হলে সম্ভাব্য ঝুঁকি, ক্ষতি, ও সংকটের বিষয় নীতি নির্ধারক ও জনগণের সামনে উপস্থাপন করবার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


জোবায়ের জাকির