বুটেক্সের নতুন প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান
- প্রকাশিত: ০৫:৪১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
- / 13
মাহদী হাসান চৌধুরী, বুটেক্স
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. রাশেদা বেগম দিনা স্বাক্ষরিত এ অফিস আদেশে বলা হয়, প্রক্টর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ফ্যাকাল্টি অব টেক্সটাইল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন অধ্যাপক ড. উম্মুল খায়ের ফাতেমা এর পদত্যাগ পত্র সিন্ডিকেট সভায় গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে ২১ জানুয়ারি থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রক্টর হিসেবে উপাচার্য মহোদয়ের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে নবনিযুক্ত প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এটি শুধু একটি পদ নয়, বরং এক বিশাল দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জের সমন্বয় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার্থীদের সুস্থ একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।
তিনি প্রক্টরের ভূমিকা নিয়ে আরো যোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান, ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাই আমার প্রধান দায়িত্ব হবে। এছাড়া আমি চেষ্টা করব আমার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষার্থীবান্ধব যেখানে সকলেই নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে তাদের শিক্ষা ও গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এই দায়িত্ব পালনে নানা চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে আমি বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা একটি সুস্থ ও শৃঙ্খল ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সহযোগিতা কামনা করছি যাতে আমরা একসাথে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে পারি।
উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী প্রক্টরকে দুই বছরের জন্য দায়িত্ব অর্পণ করা হলেও তিনি এক বছরের বেশি কিছু সময়ের মাথায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তিনি কি কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা এখনো জানা যায় নি।