০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‎শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের হার বাড়াতে হবে : রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০১:১১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 15

বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী কলেজ ইউনিট এর আয়োজনে রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কার :আমাদের প্রত্যাশা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১১ টায় রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যহুর আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রত্যেক কলেজের বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক সহ শিক্ষকমন্ডলী এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।

‎এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ছাত্ররাও অংশগ্রহন করে।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিটএর সম্পাদক ড.শাহ্ মোঃ মাহবুব আলম, মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোছাঃ জামিলা খাতুন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী,
‎শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খান মোহাম্মদ মাইনুল হক,নিউ ডিগ্রী গভ. কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কালাচাঁদ শীল।

‎রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যহুর আলী জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবি জানান।এছাড়াও তিনি বলেন শিক্ষা ক্যাডার দের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান ও শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট প্রদান করা হলে শিক্ষার মান উন্নত করা সময়ের ব্যপার মাত্র।আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাজেট অনেক কম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‎এছাড়া শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড উল্লেখ করে উক্ত কলেজের উপাধ্যক্ষ ড প্রফেসর মোঃ ইব্রাহিম আলী বলেন শিক্ষকদের সম্মান, বেতন, প্রশিক্ষণ সুবিধা, বাজেটে শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বাজেট না দিলে শিক্ষা সেক্টরে কোনদিনও উন্নয়ন হবে না। অনান্য কলেজের অধ্যক্ষরাও বক্তব্য রাখেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়ক
‎আব্দুর রহিম বলেন-দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে হলে প্রয়োজনে ছাত্র জনতা আবারও রাস্তায় নামবে।

‎কর্মশালা শেষে ছাত্ররা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কারে ও জনকল্যাণমুলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ দেন। তার ভেতর উল্লেখযোগ্য-

‎১। মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ের

‎অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদেরকে প্রদান করতে হবে।

‎২। চাকুরির আগে কিম্বা পরে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর সাথে সাংঘার্ষিক সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাভিত্তিক সিভিল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

‎৩। সমস্ত পেশার বৈষম্য দূর করে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

‎৪। প্রত্যেক সেক্টরে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করবে অথবা স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

‎৫। কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে সকল পেশায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ এবং গ্রেড তৈরি করতে হবে।

‎৬। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরের জনবল দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালত

‎পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

‎৭। মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর সংশ্লিষ্ট সভাসমূহ আয়োজন, নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকে প্রদান করতে হবে।

‎৮। যেকোন অফিস আদেশ হবে সার্বজনীন, যা একই গ্রেডের সকল কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে।

‎৯। রাষ্ট্রের সকল সেক্টরের পরিকল্পনা ও 1/2 নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের তফসিলভুক্ত পদ থেকে অন্য ক্যাডারের অদক্ষ ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা।

‎প্রথম পর্ব উপস্থাপনা ও কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ পারভেজ রানা।


‎বার্তা প্রেরক
শাহাদাত হোসেন
‎দপ্তর সম্পাদক, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি
‎০১৭০৬৭৩২০০৩

শেয়ার করুন

‎শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের হার বাড়াতে হবে : রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: ০১:১১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী কলেজ ইউনিট এর আয়োজনে রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কার :আমাদের প্রত্যাশা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১১ টায় রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যহুর আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রত্যেক কলেজের বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক সহ শিক্ষকমন্ডলী এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।

‎এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ছাত্ররাও অংশগ্রহন করে।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিটএর সম্পাদক ড.শাহ্ মোঃ মাহবুব আলম, মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোছাঃ জামিলা খাতুন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী,
‎শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খান মোহাম্মদ মাইনুল হক,নিউ ডিগ্রী গভ. কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কালাচাঁদ শীল।

‎রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যহুর আলী জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবি জানান।এছাড়াও তিনি বলেন শিক্ষা ক্যাডার দের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান ও শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট প্রদান করা হলে শিক্ষার মান উন্নত করা সময়ের ব্যপার মাত্র।আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাজেট অনেক কম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‎এছাড়া শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড উল্লেখ করে উক্ত কলেজের উপাধ্যক্ষ ড প্রফেসর মোঃ ইব্রাহিম আলী বলেন শিক্ষকদের সম্মান, বেতন, প্রশিক্ষণ সুবিধা, বাজেটে শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বাজেট না দিলে শিক্ষা সেক্টরে কোনদিনও উন্নয়ন হবে না। অনান্য কলেজের অধ্যক্ষরাও বক্তব্য রাখেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়ক
‎আব্দুর রহিম বলেন-দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে হলে প্রয়োজনে ছাত্র জনতা আবারও রাস্তায় নামবে।

‎কর্মশালা শেষে ছাত্ররা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কারে ও জনকল্যাণমুলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ দেন। তার ভেতর উল্লেখযোগ্য-

‎১। মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ের

‎অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদেরকে প্রদান করতে হবে।

‎২। চাকুরির আগে কিম্বা পরে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর সাথে সাংঘার্ষিক সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাভিত্তিক সিভিল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

‎৩। সমস্ত পেশার বৈষম্য দূর করে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

‎৪। প্রত্যেক সেক্টরে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করবে অথবা স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

‎৫। কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে সকল পেশায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ এবং গ্রেড তৈরি করতে হবে।

‎৬। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরের জনবল দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালত

‎পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

‎৭। মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর সংশ্লিষ্ট সভাসমূহ আয়োজন, নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকে প্রদান করতে হবে।

‎৮। যেকোন অফিস আদেশ হবে সার্বজনীন, যা একই গ্রেডের সকল কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে।

‎৯। রাষ্ট্রের সকল সেক্টরের পরিকল্পনা ও 1/2 নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের তফসিলভুক্ত পদ থেকে অন্য ক্যাডারের অদক্ষ ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা।

‎প্রথম পর্ব উপস্থাপনা ও কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ পারভেজ রানা।


‎বার্তা প্রেরক
শাহাদাত হোসেন
‎দপ্তর সম্পাদক, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি
‎০১৭০৬৭৩২০০৩