০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ববির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 12

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ববি প্রতিনিধি:

সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে ও প্রশাসনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে প্রশাসনের নিরব ভূমিকাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের দায়ের করা মামলা এখনও প্রত্যাহার না করায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ববি উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের দায়ের করা ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’ অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন তারা। যার মধ্যে সড়ক অবরোধও থাকবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের কাছে দেয়া এক উন্মুক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ছয়দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে চলমান যৌক্তিক আন্দোলনে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা তাদের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তারা এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে শিক্ষার্থীদের সামনে আসার নৈতিক সৎসাহস হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রহসনের মিথ্যা মামলা এখনও পর্যন্ত প্রত্যাহার না করে স্পষ্ট প্রমান করেছে এরা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী না। একের পর এক অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভিতরে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। সেটা আগামী দিনে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার সম্পূর্ণ প্রশাসনকে নিতে হবে। প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়েও উনি দায়িত্বে অবহেলা করে যাচ্ছেন।এজন্য একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি তার দায়িত্বে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন স্বৈরতন্ত্র চলবেনা। আমাদের অধিকারের ব্যাপারে আমরা আপোষহীন। শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ক্লাসরুম,আবাসন,পরিবহন সংকট সহ ২২ দফা অতিদ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন সিদ্ধান্তে লুকোচুরি করা যাবেনা।

আমাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দায়িত্বে কেউ অবহেলা করলে অথবা স্বৈরাচার হওয়া মনোবাসনা জাগলে আমরা সচেতন শিক্ষার্থীরা আপনাদের দাঁতভাঙা জবাব দিবো। হামলা,মামলার মতো স্বৈরাচারী কাজকারবার পরিহার করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

সবিশেষ,উপাচার্যের দায়ের করা যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে সড়ক অবরোধ সহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিয়েছি।

শেয়ার করুন

মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ববির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ১২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ববি প্রতিনিধি:

সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে ও প্রশাসনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে প্রশাসনের নিরব ভূমিকাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের দায়ের করা মামলা এখনও প্রত্যাহার না করায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ববি উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের দায়ের করা ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’ অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন তারা। যার মধ্যে সড়ক অবরোধও থাকবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের কাছে দেয়া এক উন্মুক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ছয়দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে চলমান যৌক্তিক আন্দোলনে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা তাদের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তারা এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে শিক্ষার্থীদের সামনে আসার নৈতিক সৎসাহস হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রহসনের মিথ্যা মামলা এখনও পর্যন্ত প্রত্যাহার না করে স্পষ্ট প্রমান করেছে এরা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী না। একের পর এক অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভিতরে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। সেটা আগামী দিনে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার সম্পূর্ণ প্রশাসনকে নিতে হবে। প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়েও উনি দায়িত্বে অবহেলা করে যাচ্ছেন।এজন্য একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি তার দায়িত্বে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন স্বৈরতন্ত্র চলবেনা। আমাদের অধিকারের ব্যাপারে আমরা আপোষহীন। শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ক্লাসরুম,আবাসন,পরিবহন সংকট সহ ২২ দফা অতিদ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন সিদ্ধান্তে লুকোচুরি করা যাবেনা।

আমাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দায়িত্বে কেউ অবহেলা করলে অথবা স্বৈরাচার হওয়া মনোবাসনা জাগলে আমরা সচেতন শিক্ষার্থীরা আপনাদের দাঁতভাঙা জবাব দিবো। হামলা,মামলার মতো স্বৈরাচারী কাজকারবার পরিহার করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

সবিশেষ,উপাচার্যের দায়ের করা যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে সড়ক অবরোধ সহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিয়েছি।