০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রামের থেকে শহরে সবচেয়ে বেশি যৌন সহিংসতার শিকার হয় বাংলাদেশের নারীরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৪:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 42

নারীর প্রতি সহিংসতা: অধিকাংশ ভুক্তভোগী নীরব, মাত্র ৭.৪% আইনের আশ্রয় নেন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে যে নারীদের প্রতি সহিংসতা এখনো ব্যাপকভাবে বিরাজমান। শহর এলাকায় ৩১.৩% এবং গ্রামে ২৮% নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএসের অডিটরিয়ামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের প্রতি সহিংসতা মূলত চার ধরনের—শারীরিক, যৌন, অর্থনৈতিক ও মানসিক। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে মাত্র ৭.৪% আইনের সহায়তা নেন, আর ৬৪% নারী এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন না।

বিবিএস জানায়, অধিকাংশ নারী তাঁদের জীবনসঙ্গীর কাছ থেকেই সহিংসতার শিকার হন। এমনকি, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে নারীরা শারীরিক ও যৌন সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকেন বহুগুণ বেশি। মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবারের জরিপে দেশের বিভাগভিত্তিক সহিংসতার পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বরিশালে (৫০.৯%) এবং সবচেয়ে কম সিলেটে (৩৩.৫%)।

জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, এনডিসি এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আলেয়া আক্তার।  ২০২৪ সালের নারীর প্রতি সহিংসতাবিষয়ক জরিপের মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ বলেন, মানসিকতার কারণে ভায়োলেন্স বাড়ে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো জায়গায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা রয়েছে। তাই নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে মানসিক পরিবর্তন দরকার

শেয়ার করুন

গ্রামের থেকে শহরে সবচেয়ে বেশি যৌন সহিংসতার শিকার হয় বাংলাদেশের নারীরা

প্রকাশিত: ০৪:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারীর প্রতি সহিংসতা: অধিকাংশ ভুক্তভোগী নীরব, মাত্র ৭.৪% আইনের আশ্রয় নেন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে যে নারীদের প্রতি সহিংসতা এখনো ব্যাপকভাবে বিরাজমান। শহর এলাকায় ৩১.৩% এবং গ্রামে ২৮% নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএসের অডিটরিয়ামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের প্রতি সহিংসতা মূলত চার ধরনের—শারীরিক, যৌন, অর্থনৈতিক ও মানসিক। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে মাত্র ৭.৪% আইনের সহায়তা নেন, আর ৬৪% নারী এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন না।

বিবিএস জানায়, অধিকাংশ নারী তাঁদের জীবনসঙ্গীর কাছ থেকেই সহিংসতার শিকার হন। এমনকি, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে নারীরা শারীরিক ও যৌন সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকেন বহুগুণ বেশি। মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবারের জরিপে দেশের বিভাগভিত্তিক সহিংসতার পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বরিশালে (৫০.৯%) এবং সবচেয়ে কম সিলেটে (৩৩.৫%)।

জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, এনডিসি এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আলেয়া আক্তার।  ২০২৪ সালের নারীর প্রতি সহিংসতাবিষয়ক জরিপের মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ বলেন, মানসিকতার কারণে ভায়োলেন্স বাড়ে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো জায়গায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা রয়েছে। তাই নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে মানসিক পরিবর্তন দরকার