০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোয় সাইবার বুলিংয়ের শিকার ছাত্রনেতা মাসনূন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 56

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মাসনূন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোটেলে খাবার গ্রহণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ ওঠে, এক হিন্দু শিক্ষার্থী হোটেলে খাবার গ্রহণের পর হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করে, যেন তিনি প্রকাশ না করেন যে সেখানে খাবার বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী এক সিনিয়র শিক্ষার্থীকে জানান, যিনি বিষয়টি প্রতিবাদস্বরূপ ফেসবুকে শেয়ার করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, রমজান মাসে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের খাবার গ্রহণে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সাংবাদিক আহমেদ জুনায়েদ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে অপর এক সাংবাদিককে দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করান। তখন ওই শিক্ষার্থী জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এটি ভুল বোঝাবুঝির ফল।

এরপর মাসনূনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচার শুরু হয়। তাকে মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড আখ্যা দিয়ে সাইবার বুলিং করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলার দাবিও ওঠে।

পরবর্তীতে মাসনূন পুনরায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান যে, সাধারণ পরিবারের সন্তান হওয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি ঝামেলা এড়ানোর জন্য প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করেন। পাশাপাশি জানান, তার বাবা তাকে প্রতিনিয়ত সতর্ক করেন, যাতে কোনো ঝামেলায় না জড়ান।

পরবর্তীতে ভোক্তভোগী দুঃখ প্রকাশ করেন, সাংবাদিক এর কাছে ব্যাপারটি অস্বীকার করার জন্য।

এ বিষয়ে মাসনূন বলেন, আমি শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয় এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা শুরু হয়।

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোয় সাইবার বুলিংয়ের শিকার ছাত্রনেতা মাসনূন

প্রকাশিত: ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মাসনূন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোটেলে খাবার গ্রহণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ ওঠে, এক হিন্দু শিক্ষার্থী হোটেলে খাবার গ্রহণের পর হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করে, যেন তিনি প্রকাশ না করেন যে সেখানে খাবার বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী এক সিনিয়র শিক্ষার্থীকে জানান, যিনি বিষয়টি প্রতিবাদস্বরূপ ফেসবুকে শেয়ার করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, রমজান মাসে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের খাবার গ্রহণে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সাংবাদিক আহমেদ জুনায়েদ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে অপর এক সাংবাদিককে দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করান। তখন ওই শিক্ষার্থী জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এটি ভুল বোঝাবুঝির ফল।

এরপর মাসনূনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচার শুরু হয়। তাকে মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড আখ্যা দিয়ে সাইবার বুলিং করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলার দাবিও ওঠে।

পরবর্তীতে মাসনূন পুনরায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান যে, সাধারণ পরিবারের সন্তান হওয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি ঝামেলা এড়ানোর জন্য প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করেন। পাশাপাশি জানান, তার বাবা তাকে প্রতিনিয়ত সতর্ক করেন, যাতে কোনো ঝামেলায় না জড়ান।

পরবর্তীতে ভোক্তভোগী দুঃখ প্রকাশ করেন, সাংবাদিক এর কাছে ব্যাপারটি অস্বীকার করার জন্য।

এ বিষয়ে মাসনূন বলেন, আমি শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয় এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা শুরু হয়।