০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিবহণ শ্রমিকদের মারামারি থামাতে গিয়ে হামলার শিকার ববির তিন শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৫:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / 26

যাত্রী উঠানো নিয়ে থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা) এবং বাস শ্রমিকদের মধ্যেকার মারামারি থামাতে গিয়ে মাহিন্দ্রা শ্রমিক ও স্থানীয় ৫-৭ জনের হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন বন্দর থানাধীন খয়রাবাদ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র তানজিল আজাদ, তরিকুল ইসলাম আজমাইন এবং রবিউল ইসলাম আহত হয়েছেন। আহতদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

হামলাকারী শ্রমিকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে সকল ধরনের পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রিজের উভয়প্রান্তে কয়েশ যানবাহন আটকা পড়ে।

পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিলে ১ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহিন্দ্রাতে যেন যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে চেকপোস্ট বসায় রূপাতলী বাস মালিক সমিতির লোকজন। এ নিয়ে থ্রি-হুইলার চালকদের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গন্ডগোল হয়। এর ঘণ্টাখানেকের মাথায় বেলা ১১টার দিকে বাস এবং থ্রি-হুইলার চালকদের মধ্যে মারামারির খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা।

বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, বাস মালিক সমিতির লোকজনের ওপর মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা হামলা করেছে। ৫জন শ্রমিক আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি। তিনি আরও বলেন, বাস শ্রমিকরা দাবি করেছে তারা যদি সড়কে নিরাপদ বোধ না করেন তাহলে তারাও ধর্মঘট করবেন।

বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সিএনজি ও বাস মালিক সমিতির শ্রমিকদের মধ্য মারামারি থামাতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে৷ বিষয়টি দুঃখজনক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা শুনে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশও আসে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

শেয়ার করুন

পরিবহণ শ্রমিকদের মারামারি থামাতে গিয়ে হামলার শিকার ববির তিন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৫:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

যাত্রী উঠানো নিয়ে থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা) এবং বাস শ্রমিকদের মধ্যেকার মারামারি থামাতে গিয়ে মাহিন্দ্রা শ্রমিক ও স্থানীয় ৫-৭ জনের হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন বন্দর থানাধীন খয়রাবাদ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র তানজিল আজাদ, তরিকুল ইসলাম আজমাইন এবং রবিউল ইসলাম আহত হয়েছেন। আহতদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

হামলাকারী শ্রমিকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে সকল ধরনের পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রিজের উভয়প্রান্তে কয়েশ যানবাহন আটকা পড়ে।

পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিলে ১ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহিন্দ্রাতে যেন যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে চেকপোস্ট বসায় রূপাতলী বাস মালিক সমিতির লোকজন। এ নিয়ে থ্রি-হুইলার চালকদের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গন্ডগোল হয়। এর ঘণ্টাখানেকের মাথায় বেলা ১১টার দিকে বাস এবং থ্রি-হুইলার চালকদের মধ্যে মারামারির খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা।

বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, বাস মালিক সমিতির লোকজনের ওপর মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা হামলা করেছে। ৫জন শ্রমিক আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি। তিনি আরও বলেন, বাস শ্রমিকরা দাবি করেছে তারা যদি সড়কে নিরাপদ বোধ না করেন তাহলে তারাও ধর্মঘট করবেন।

বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সিএনজি ও বাস মালিক সমিতির শ্রমিকদের মধ্য মারামারি থামাতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে৷ বিষয়টি দুঃখজনক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা শুনে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশও আসে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।