০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশব্যাপী ধর্ষণে ক্ষোভে ফুঁসছে ইবি, কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

নূর ই আলম, ইবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০১:২৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 22

কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

দেশব্যাপী আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়া নারী নির্যাতন ও ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে, নতুন আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে তারা।

রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট সংলগ্ন কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করে তারা।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই না’; ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’; ‘মাগুরায় ধর্ষণে অভিযুক্ত নরপশুদের বিচার চাই’; ‘ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক’; ‘আশ্বাস নয়, আইনের বাস্তবায়ন চাই’; ‘উই আর নট লিভিং ইন আ ডেড পয়েট’স সোসাইটি (We Are Not Living In A Dead Poet’s Society)’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই; আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া; উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস; দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকের ফাঁসি দে, সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকের কবর দে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে। শুধু মাগুরায় নয়, ৫ ই আগস্টের পর থেকে সারা দেশেই ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার চাই। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিক এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্যে কঠোর শাস্তি দিক। তাহলে আর কেউ ধর্ষণের সাহস পাবে না। একজনকেও যদি প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে বাকিরা এমনিতেও ভয়ে শুধরে যাবে।

শিক্ষার্থী মিথিলা বলেন, ধর্ষণের সাথে তো জামা কাপড়ের কথা আসেনা। তিন বছরের বাচ্চার কি বোরকা পরা লাগবে? তিন বছরের বাচ্চা দেখলেও আপনাদের সেই পশুত্ব জেগে উঠে। আমরা সবগুলো ধর্ষণের বিচার চাই। যতজন নারী যত শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে তারা যেন ক্ষতিপূরণ পায়। মেয়ে মানুষের একটু ইচ্ছা থাকে যে তারা নিরাপদে রাস্তায় বের হবে কিন্তু বের হলে ওড়না কোথায় আপনার, এটা কোথায় ওটা কোথায়- এভাবে তো দেশ চলবেনা। এই বেয়াদব জানোয়ারদের মেরে ফেলতে হবে তাছাড়া আর বেঁচে থাকা সম্ভব না। আমরা প্রতিটি ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড চাই

শেয়ার করুন

দেশব্যাপী ধর্ষণে ক্ষোভে ফুঁসছে ইবি, কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০১:২৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

দেশব্যাপী আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়া নারী নির্যাতন ও ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে, নতুন আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে তারা।

রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট সংলগ্ন কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করে তারা।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই না’; ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’; ‘মাগুরায় ধর্ষণে অভিযুক্ত নরপশুদের বিচার চাই’; ‘ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক’; ‘আশ্বাস নয়, আইনের বাস্তবায়ন চাই’; ‘উই আর নট লিভিং ইন আ ডেড পয়েট’স সোসাইটি (We Are Not Living In A Dead Poet’s Society)’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই; আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া; উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস; দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকের ফাঁসি দে, সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকের কবর দে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে। শুধু মাগুরায় নয়, ৫ ই আগস্টের পর থেকে সারা দেশেই ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার চাই। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিক এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্যে কঠোর শাস্তি দিক। তাহলে আর কেউ ধর্ষণের সাহস পাবে না। একজনকেও যদি প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে বাকিরা এমনিতেও ভয়ে শুধরে যাবে।

শিক্ষার্থী মিথিলা বলেন, ধর্ষণের সাথে তো জামা কাপড়ের কথা আসেনা। তিন বছরের বাচ্চার কি বোরকা পরা লাগবে? তিন বছরের বাচ্চা দেখলেও আপনাদের সেই পশুত্ব জেগে উঠে। আমরা সবগুলো ধর্ষণের বিচার চাই। যতজন নারী যত শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে তারা যেন ক্ষতিপূরণ পায়। মেয়ে মানুষের একটু ইচ্ছা থাকে যে তারা নিরাপদে রাস্তায় বের হবে কিন্তু বের হলে ওড়না কোথায় আপনার, এটা কোথায় ওটা কোথায়- এভাবে তো দেশ চলবেনা। এই বেয়াদব জানোয়ারদের মেরে ফেলতে হবে তাছাড়া আর বেঁচে থাকা সম্ভব না। আমরা প্রতিটি ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড চাই