০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবিপ্রবিতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আলিফ সাঈদ ফাতিক, রাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০৯:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 26

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উদ্যোগে আজ ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ প্রাঙ্গণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার, এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বন সংরক্ষণ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

ইফতারের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও সংযমের শিক্ষা দেয়। এ মাসের শিক্ষা আমাদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে এবং সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবকাঠামো নির্মাণকাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ অঞ্চলের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা ও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, যেখানে ১৯৫২, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের চেতনা প্রতিফলিত হবে।

ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। দোয়ায় তিনি দেশের উন্নয়ন, বিশ্বমানবতার প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাথে একত্রে ইফতার করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় করবে।

শেয়ার করুন

রাবিপ্রবিতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৯:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উদ্যোগে আজ ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ প্রাঙ্গণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার, এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বন সংরক্ষণ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

ইফতারের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও সংযমের শিক্ষা দেয়। এ মাসের শিক্ষা আমাদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে এবং সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবকাঠামো নির্মাণকাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ অঞ্চলের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা ও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, যেখানে ১৯৫২, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের চেতনা প্রতিফলিত হবে।

ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। দোয়ায় তিনি দেশের উন্নয়ন, বিশ্বমানবতার প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাথে একত্রে ইফতার করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় করবে।