০৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাবিতে বসন্তের আগমনী বার্তা, প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতার হাতছানি

মোঃ যোবায়ের হোসেন জাকির, জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০৯:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / 47

“পূর্ণিমা রাতে ঐ ছোটাছুটি করে কারা! দখিনা পবনে দোলে, বসন্ত এসে গেছে!” জানালা ভেদ করে সূর্যের আলোকচ্ছটা প্রবেশ করছে কক্ষে। দেশীয় পাখপাখালির কলতানে মুখরিত চারপাশ। শীতের আড়মোড়া ভেঙে রুক্ষতা বিদায় করে পলাশের সুবাসে কোকিলের কুহু কুহু মিষ্টি মিহি সুরে ঘুম থেকে জেগে ওঠা। লেকগুলো জনমানবশূন্য। শুষ্কতার আবেশে ঘোর রিদ্যতা। চারিদিকে শুনশান, নিরব-নিস্তব্ধতা।

আপন নীড়ে ফিরে গেছে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিব্রাজক পাখিরা। গাছে গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। সবুজের সমারোহ প্রান খুলে হাসতে শুরু করেছে। প্রকৃতি যেন তার ডানা মেলে ধরে জগতবাসীকে জানান দিচ্ছে শীতের ইতি ঘটেছে, ঋতুরাজন বসন্তের আগমন ঘটতে চলেছে।

রিক্ত শূন্য অরণ্য, মর্মর শব্দে ঝরে পড়া ধূসর পাতা, নব পুস্প মাখা সকাল, বাগানের বাহারি রঙের ফুল, গাছে গাছে জেগে উঠা কচি সবুজেরা আর সবুজ গাছের আড়াল থেকে কোকিলের কুহু কুহু মধুর সুর জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলা-নিকেতন, মায়ার নগরী, বাসন্তী রাণী, প্রকৃতি কণ্যা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বসন্তের শুরুতে তার রূপ-লাবণ্যের যেন সবটাই উজার করে দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের সম্মানে। গাছের ডালে ডালে ঝরে পরা পাতার অঙ্কুরে নতুন করে গজাচ্ছে সবুজ পাতা, কোকিলের কুহু কুহু জয়োধ্বনি, পলাশ-শিমুলের রক্তিম আভা, সেইসাথে গাদা-গন্ধরাজের অমৃত সুবাসে ক্যাম্পাসের প্রতিটি আনাচে-কানাচে উৎসবের আমেজ এবারের বসন্তকে যেন মহিমান্বিত করে তুলেছে।

কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান! মধুর অমৃত বাণী, বেলা গেল সহজেই, মরমে উঠিল বাজি। এমনি করেই জাহাঙ্গীরনগরের প্রতিটি কোনে কোনে আজ আতশবাজির মতো স্ফুলিঙ্গ হয়ে ফুটতেছে বসন্তের আগমনী বার্তা।

সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত জাহাঙ্গীরনগরে বসন্ত এসেছে। দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি। কোকিল-শ্যামা গাছের ডালে বসে গাইতে শুরু করেছে। ভ্রমরেরা করছে খেলা। আকাশে উড়ছে মেঘের ভেলা। গাছে গাছে শিমুল-পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার মেলা। চারদিকে পরিবর্তনের ছোয়া। জাহাঙ্গীরনগরে লেগেছে তারুণ্যের হাওয়া। প্রকৃতি সেজেছে বর্নিল সাজে।
থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে, মথা নত করে রব; আহা, বসন্ত এসে গেছে!

বাংলা সাহিত্যে বসন্ত এক বিশাল স্থান অধিকার করে আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশসহ বহু কবি বসন্তের সৌন্দর্য, প্রেম ও প্রাণচাঞ্চল্যের কথা লিখেছেন।

তাই তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ দরদভরা কন্ঠে মায়া মাখা হাতে লিখেছেন,_
“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”
যদিও বৈশাখকে আহ্বান করে লেখা, তবুও এর ভেতরে বসন্তের এক ধরনের প্রস্তুতির বার্তা পাওয়া যায়।

বসন্ত মানেই ফুলের সৌরভ আর প্রকৃতির বর্ণিল সাজ। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, বকুল, পারিজাতসহ নানা ফুলের সমারোহে চারদিক হয়ে ওঠে অপরূপ। আম, কাঁঠাল, লিচুর মুকুলের ঘ্রাণ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, যা বসন্তের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বসন্তের সাথে বাঙালির সখ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় প্রাচীনকাল থেকেই। প্রাচীন এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে এদেশের প্রতিটি প্রাণে সর্বদা আন্দোলিত হয় ফাগুনের স্নিগ্ধ সমীর। এই সময়গুলোতে জাহাঙ্গীরনগরের পথে প্রান্তরে যেন উৎসবের আমেজ লেগে যায়।

হরেক রকমের রঙিন ফুলের সুবাসে চারদিক উদ্বেলিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের একাধিক স্থানে তৈরিকৃত ফুলের বাগানগুলো যেন চারদিকের শোভা বর্ধন করে দ্বিগুণ গতিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনটি যেন বাংলার কাশ্মীর হিসাবে নিজেকে মেলে ধরে। প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয়ে বসন্তের আদরমাখা স্পর্শে জেগে উঠতে বাধ্য করে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার চত্বর, ছেলে-মেয়েদের হলগুলো, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)সহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বাহারি রকমের ফুলের বাগান। এখানে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুলের সমারাহ।। ফুটেছে অনিন্দ্য সুন্দর হরেক রকমের ফুল। গাঁদা, কসমস, বেলী, ডালিয়া, জিনিসা, লাল, নীল সাদা গোলাপ, মোরগ ঝুঁটি, সূর্যমুখী, জুঁই, চামেলি, টগরসহ আরও নাম না জানা অগণন পুষ্পরেণু জাহাঙ্গীরনগরকে অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাতন্ত্র্য-অসাধারণত্ব দান করেছে।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফরিন সুলতানা বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। স্বপ্নের একটা ক্যাম্পাস ছিলো এটি। কিন্তু বসন্তকালে জাবি যে এতটা সুন্দরভাবে আবির্ভূত হবে তা জানা ছিলো না। আজকে সত্যিই বলতে হয় আমি গর্বিত জাবিতে ভর্তি হতে পেরে। বসন্ত শুধু পাবলিকিয়ানদের জীবনেই নয় বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।

বাংলা ষড়ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে রঙিন, প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় ঋতু হলো বসন্ত। এটি ফাল্গুন ও চৈত্র মাসজুড়ে প্রকৃতিতে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। শীতের বিদায়ের পর গ্রীষ্মের আগমনের পূর্ব মুহূর্তে এই ঋতুটি প্রকৃতিকে সজ্জিত করে অপূর্ব রূপে।

বসন্তের রঙ, সৌরভ ও আনন্দ আমাদের মনকে উজ্জীবিত করে। তাই এই ঋতুকে যথাযথভাবে উপভোগ করা এবং এর সৌন্দর্যকে সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব। বসন্তকে বরণ করি প্রাণ খুলে, প্রকৃতির এই অপূর্ব দানকে ভালোবেসে।

আবহমানকাল ধরেই বাঙালির সাথে বসন্তের এক অপরুপ মেলবন্ধনের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ঐতিহাসিকদের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে। বাঙালি আর বসন্ত একে অপরের সাথে যেন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বসন্তের অমিয় সুধা বয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এমনটাই প্রত্যাশা।

শেয়ার করুন

জাবিতে বসন্তের আগমনী বার্তা, প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতার হাতছানি

প্রকাশিত: ০৯:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

“পূর্ণিমা রাতে ঐ ছোটাছুটি করে কারা! দখিনা পবনে দোলে, বসন্ত এসে গেছে!” জানালা ভেদ করে সূর্যের আলোকচ্ছটা প্রবেশ করছে কক্ষে। দেশীয় পাখপাখালির কলতানে মুখরিত চারপাশ। শীতের আড়মোড়া ভেঙে রুক্ষতা বিদায় করে পলাশের সুবাসে কোকিলের কুহু কুহু মিষ্টি মিহি সুরে ঘুম থেকে জেগে ওঠা। লেকগুলো জনমানবশূন্য। শুষ্কতার আবেশে ঘোর রিদ্যতা। চারিদিকে শুনশান, নিরব-নিস্তব্ধতা।

আপন নীড়ে ফিরে গেছে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিব্রাজক পাখিরা। গাছে গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। সবুজের সমারোহ প্রান খুলে হাসতে শুরু করেছে। প্রকৃতি যেন তার ডানা মেলে ধরে জগতবাসীকে জানান দিচ্ছে শীতের ইতি ঘটেছে, ঋতুরাজন বসন্তের আগমন ঘটতে চলেছে।

রিক্ত শূন্য অরণ্য, মর্মর শব্দে ঝরে পড়া ধূসর পাতা, নব পুস্প মাখা সকাল, বাগানের বাহারি রঙের ফুল, গাছে গাছে জেগে উঠা কচি সবুজেরা আর সবুজ গাছের আড়াল থেকে কোকিলের কুহু কুহু মধুর সুর জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলা-নিকেতন, মায়ার নগরী, বাসন্তী রাণী, প্রকৃতি কণ্যা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বসন্তের শুরুতে তার রূপ-লাবণ্যের যেন সবটাই উজার করে দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের সম্মানে। গাছের ডালে ডালে ঝরে পরা পাতার অঙ্কুরে নতুন করে গজাচ্ছে সবুজ পাতা, কোকিলের কুহু কুহু জয়োধ্বনি, পলাশ-শিমুলের রক্তিম আভা, সেইসাথে গাদা-গন্ধরাজের অমৃত সুবাসে ক্যাম্পাসের প্রতিটি আনাচে-কানাচে উৎসবের আমেজ এবারের বসন্তকে যেন মহিমান্বিত করে তুলেছে।

কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান! মধুর অমৃত বাণী, বেলা গেল সহজেই, মরমে উঠিল বাজি। এমনি করেই জাহাঙ্গীরনগরের প্রতিটি কোনে কোনে আজ আতশবাজির মতো স্ফুলিঙ্গ হয়ে ফুটতেছে বসন্তের আগমনী বার্তা।

সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত জাহাঙ্গীরনগরে বসন্ত এসেছে। দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি। কোকিল-শ্যামা গাছের ডালে বসে গাইতে শুরু করেছে। ভ্রমরেরা করছে খেলা। আকাশে উড়ছে মেঘের ভেলা। গাছে গাছে শিমুল-পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার মেলা। চারদিকে পরিবর্তনের ছোয়া। জাহাঙ্গীরনগরে লেগেছে তারুণ্যের হাওয়া। প্রকৃতি সেজেছে বর্নিল সাজে।
থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে, মথা নত করে রব; আহা, বসন্ত এসে গেছে!

বাংলা সাহিত্যে বসন্ত এক বিশাল স্থান অধিকার করে আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশসহ বহু কবি বসন্তের সৌন্দর্য, প্রেম ও প্রাণচাঞ্চল্যের কথা লিখেছেন।

তাই তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ দরদভরা কন্ঠে মায়া মাখা হাতে লিখেছেন,_
“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”
যদিও বৈশাখকে আহ্বান করে লেখা, তবুও এর ভেতরে বসন্তের এক ধরনের প্রস্তুতির বার্তা পাওয়া যায়।

বসন্ত মানেই ফুলের সৌরভ আর প্রকৃতির বর্ণিল সাজ। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, বকুল, পারিজাতসহ নানা ফুলের সমারোহে চারদিক হয়ে ওঠে অপরূপ। আম, কাঁঠাল, লিচুর মুকুলের ঘ্রাণ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, যা বসন্তের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বসন্তের সাথে বাঙালির সখ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় প্রাচীনকাল থেকেই। প্রাচীন এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে এদেশের প্রতিটি প্রাণে সর্বদা আন্দোলিত হয় ফাগুনের স্নিগ্ধ সমীর। এই সময়গুলোতে জাহাঙ্গীরনগরের পথে প্রান্তরে যেন উৎসবের আমেজ লেগে যায়।

হরেক রকমের রঙিন ফুলের সুবাসে চারদিক উদ্বেলিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের একাধিক স্থানে তৈরিকৃত ফুলের বাগানগুলো যেন চারদিকের শোভা বর্ধন করে দ্বিগুণ গতিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনটি যেন বাংলার কাশ্মীর হিসাবে নিজেকে মেলে ধরে। প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয়ে বসন্তের আদরমাখা স্পর্শে জেগে উঠতে বাধ্য করে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার চত্বর, ছেলে-মেয়েদের হলগুলো, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)সহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বাহারি রকমের ফুলের বাগান। এখানে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুলের সমারাহ।। ফুটেছে অনিন্দ্য সুন্দর হরেক রকমের ফুল। গাঁদা, কসমস, বেলী, ডালিয়া, জিনিসা, লাল, নীল সাদা গোলাপ, মোরগ ঝুঁটি, সূর্যমুখী, জুঁই, চামেলি, টগরসহ আরও নাম না জানা অগণন পুষ্পরেণু জাহাঙ্গীরনগরকে অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাতন্ত্র্য-অসাধারণত্ব দান করেছে।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফরিন সুলতানা বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। স্বপ্নের একটা ক্যাম্পাস ছিলো এটি। কিন্তু বসন্তকালে জাবি যে এতটা সুন্দরভাবে আবির্ভূত হবে তা জানা ছিলো না। আজকে সত্যিই বলতে হয় আমি গর্বিত জাবিতে ভর্তি হতে পেরে। বসন্ত শুধু পাবলিকিয়ানদের জীবনেই নয় বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।

বাংলা ষড়ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে রঙিন, প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় ঋতু হলো বসন্ত। এটি ফাল্গুন ও চৈত্র মাসজুড়ে প্রকৃতিতে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। শীতের বিদায়ের পর গ্রীষ্মের আগমনের পূর্ব মুহূর্তে এই ঋতুটি প্রকৃতিকে সজ্জিত করে অপূর্ব রূপে।

বসন্তের রঙ, সৌরভ ও আনন্দ আমাদের মনকে উজ্জীবিত করে। তাই এই ঋতুকে যথাযথভাবে উপভোগ করা এবং এর সৌন্দর্যকে সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব। বসন্তকে বরণ করি প্রাণ খুলে, প্রকৃতির এই অপূর্ব দানকে ভালোবেসে।

আবহমানকাল ধরেই বাঙালির সাথে বসন্তের এক অপরুপ মেলবন্ধনের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ঐতিহাসিকদের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে। বাঙালি আর বসন্ত একে অপরের সাথে যেন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বসন্তের অমিয় সুধা বয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এমনটাই প্রত্যাশা।