০১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ফুটবল এবং সিন্ডিকেট, এর শেষ কোথায়?

শাহরিয়ার ইমন, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০৮:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 26

জামাল ভুঁইয়া যখন প্রথম লালসবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামেন,তখনই বাংলার ফুটবলের পূর্ব দিগন্তে নতুন করে সূর্যোদয় হওয়া শুরু করেছিলো। এরপরই তারিক কাজীর অন্তর্ভূক্তি আরও স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো ফুটবলে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে পরবর্তী প্রতিটা যাত্রা। রাহবার,নবাব, ইউসুফ,এলিটারা ঠিকই এসেছিলেন কিন্ত কাউকেই টিকতে দেয়নি বাফুফে সিন্ডিকেট।

রাহবার ছিলেন সম্ভাবনাময় মিডফিল্ডার। তার ভিসন্যারি পাস গুলোতে ছিলো ইউরোপীয় ফুটবলের ছোঁয়া। সেই রাহবারকে ২ ম্যাচে ৩০ মিনিট খেলানো হয়েছিলো জাতীয় দলে। এরপর এসিএল ইঞ্জুরিতে পড়লে বাফুফে সিন্ডিকেট আর খোঁজ নেয়নি রাহবারের।

নবাব এসেছিল দেশের নবাব হতে। কাতারের ২য় ডিভিশন থেকে। পিউর প্লেমেকার প্রোফাইল এর লেফট উইঙ্গারকে একেক ম্যাচে একেক পজিশনে খেলিয়ে ক্লাব পর্যায়েয় তার ক্যারিয়ার ধ্বসিয়ে দেওয়াতে মত্ত ছিলো বসুন্ধরা। বসুন্ধরা থেকে মুক্তিযুদ্ধা কিংবা শেখ জামালে পাড়ি দিলেও তার সাথে চলতে থাকে একই প্রহসন। কয়েক ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলে নবাবকে ডাকা হলেও খেলানো হয় নি ১ সেকেন্ডও। অথচ মুক্তিযুদ্ধায় খেলাকালীন তার ১০ ম্যাচে ৬ গোলের অবদান ছিলো।

ইংলিশ ক্লাব ইপসউইট টাউনের আন্ডার-২১ দলে খেলা ইউসূফ জুলকানাইন বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ২১ দলে খেলতে এসেছিল। গতি,ড্রিবলিং,কন্ট্রোল সবকিছুতে দারুণ এক প্যাকেজ ছিলো ইউসুফ। কিন্ত তাকে ১ ম্যাচ খেলানো হয়। যেই ম্যাচে ঠিকমতো তার সতীর্থ তাকে পাস দিতেই পারেনি। সেটা যেন ছিলো ১ vs ১০ এর এক কল্পকাহিনী। এখন ফিরে গিয়েও আর ভালো ক্লাবে যেতে পারেননি তিনি।

এলিটা কিংসলে তার সময়কালে বাংলাদেশের লিগে খেলা সেরা স্ট্রাইকার। কিন্ত দেশের ক্লাব ফুটবল সিন্ডিকেট তাকে জাতীয় দলে তার সংযুক্তিতে খুশি হননি। খেলেছেন ২ ম্যাচে ৬৮ মিনিট।

ফাহমিদুল ইতালির ফোর্থ টায়ার লিগের একটা ক্লাবে খেলেন তিনি। ফাহমিদুল লেফট মিডফিল্ডার হলেও লেফট সাইড এর যেকোনো পজিশনে খেলতে পারেন। ফাহমিদুল ১৮ বছর বয়সে যতো ভালো ড্রিবলিং করেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোনো উইঙ্গারও বোধহয় এতো ভালো কন্ট্রোল করতে জানেন না। সিরি ডি তে খেলা এই ফুটবলার ক্যাম্পের প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যাট্রিক করেও হেরে যাচ্ছেন সিন্ডিকেটের কাছে অন্যদিকে ঠিকই খেলে যাচ্ছেন ফাহিম-সোহেলরা।

এছাড়াও ঘরোয়া লীগে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করা মাহাদী ইউসুফ,আবদুল্লাহ, মানিক মোল্লা, মিঠু,ইয়াসিন, দীপক রায়দেরও ৩৭ জনের দলে ডাকা হয়নি। অথচ ডাকা হলো বসুন্ধরা কিংসের রফিকুল,সোহেল সিনিয়র,চন্দন রায় এবং ফাহিম ফয়সালদের ।

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ফুটবল এবং সিন্ডিকেট, এর শেষ কোথায়?

প্রকাশিত: ০৮:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

জামাল ভুঁইয়া যখন প্রথম লালসবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামেন,তখনই বাংলার ফুটবলের পূর্ব দিগন্তে নতুন করে সূর্যোদয় হওয়া শুরু করেছিলো। এরপরই তারিক কাজীর অন্তর্ভূক্তি আরও স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো ফুটবলে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে পরবর্তী প্রতিটা যাত্রা। রাহবার,নবাব, ইউসুফ,এলিটারা ঠিকই এসেছিলেন কিন্ত কাউকেই টিকতে দেয়নি বাফুফে সিন্ডিকেট।

রাহবার ছিলেন সম্ভাবনাময় মিডফিল্ডার। তার ভিসন্যারি পাস গুলোতে ছিলো ইউরোপীয় ফুটবলের ছোঁয়া। সেই রাহবারকে ২ ম্যাচে ৩০ মিনিট খেলানো হয়েছিলো জাতীয় দলে। এরপর এসিএল ইঞ্জুরিতে পড়লে বাফুফে সিন্ডিকেট আর খোঁজ নেয়নি রাহবারের।

নবাব এসেছিল দেশের নবাব হতে। কাতারের ২য় ডিভিশন থেকে। পিউর প্লেমেকার প্রোফাইল এর লেফট উইঙ্গারকে একেক ম্যাচে একেক পজিশনে খেলিয়ে ক্লাব পর্যায়েয় তার ক্যারিয়ার ধ্বসিয়ে দেওয়াতে মত্ত ছিলো বসুন্ধরা। বসুন্ধরা থেকে মুক্তিযুদ্ধা কিংবা শেখ জামালে পাড়ি দিলেও তার সাথে চলতে থাকে একই প্রহসন। কয়েক ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলে নবাবকে ডাকা হলেও খেলানো হয় নি ১ সেকেন্ডও। অথচ মুক্তিযুদ্ধায় খেলাকালীন তার ১০ ম্যাচে ৬ গোলের অবদান ছিলো।

ইংলিশ ক্লাব ইপসউইট টাউনের আন্ডার-২১ দলে খেলা ইউসূফ জুলকানাইন বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ২১ দলে খেলতে এসেছিল। গতি,ড্রিবলিং,কন্ট্রোল সবকিছুতে দারুণ এক প্যাকেজ ছিলো ইউসুফ। কিন্ত তাকে ১ ম্যাচ খেলানো হয়। যেই ম্যাচে ঠিকমতো তার সতীর্থ তাকে পাস দিতেই পারেনি। সেটা যেন ছিলো ১ vs ১০ এর এক কল্পকাহিনী। এখন ফিরে গিয়েও আর ভালো ক্লাবে যেতে পারেননি তিনি।

এলিটা কিংসলে তার সময়কালে বাংলাদেশের লিগে খেলা সেরা স্ট্রাইকার। কিন্ত দেশের ক্লাব ফুটবল সিন্ডিকেট তাকে জাতীয় দলে তার সংযুক্তিতে খুশি হননি। খেলেছেন ২ ম্যাচে ৬৮ মিনিট।

ফাহমিদুল ইতালির ফোর্থ টায়ার লিগের একটা ক্লাবে খেলেন তিনি। ফাহমিদুল লেফট মিডফিল্ডার হলেও লেফট সাইড এর যেকোনো পজিশনে খেলতে পারেন। ফাহমিদুল ১৮ বছর বয়সে যতো ভালো ড্রিবলিং করেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোনো উইঙ্গারও বোধহয় এতো ভালো কন্ট্রোল করতে জানেন না। সিরি ডি তে খেলা এই ফুটবলার ক্যাম্পের প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যাট্রিক করেও হেরে যাচ্ছেন সিন্ডিকেটের কাছে অন্যদিকে ঠিকই খেলে যাচ্ছেন ফাহিম-সোহেলরা।

এছাড়াও ঘরোয়া লীগে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করা মাহাদী ইউসুফ,আবদুল্লাহ, মানিক মোল্লা, মিঠু,ইয়াসিন, দীপক রায়দেরও ৩৭ জনের দলে ডাকা হয়নি। অথচ ডাকা হলো বসুন্ধরা কিংসের রফিকুল,সোহেল সিনিয়র,চন্দন রায় এবং ফাহিম ফয়সালদের ।