০৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিআইইউ হলে নেশাদ্রব্য উদ্ধার, তদন্তে লাগবে ১২ দিন

তানজিল কাজী, ডিআইইউ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০৭:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / 405

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) তিন নম্বর আবাসিক হল থেকে হাতেনাতে গাঁজা, বিভিন্ন নেশাদ্রব্য ও নেশা খাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হল টিউটর আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করা হয়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুল ইসলাম মামুনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর ও প্রভাষক শাহরিয়ার মাহমুদ মিনার এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজির প্রভাষক মো. শাহেদ আলম।

ঢাকাpublician todayইন্টারন্যাশনালpublician todayইউনিভার্সিটি

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, প্রশাসনের এ পদক্ষেপ হলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শন করেছে। তাদের মতে, নিয়মিত তদারকি করলে এ ধরনের অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। শুধুমাত্র যাদের কক্ষ থেকে নেশাদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে তাই নয়, অন্য কোনো শিক্ষার্থীও জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

গাঁজাসহ নেশাদ্রব্য উদ্ধারের বিষয়ে উপাচার্য ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষাঙ্গনে নেশা বা অসামাজিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। প্রক্টোরিয়াল টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

অভিযুক্তদের নাম ও রুম নাম্বার প্রকাশ না করে তদন্ত কমিটির প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মো. আতিকুল ইসলাম মামুন জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে করা হবে। তদন্ত শেষ করতে ১০–১২ দিন সময় লাগবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সরাসরি সিট বাতিলসহ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম

শেয়ার করুন

ডিআইইউ হলে নেশাদ্রব্য উদ্ধার, তদন্তে লাগবে ১২ দিন

প্রকাশিত: ০৭:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) তিন নম্বর আবাসিক হল থেকে হাতেনাতে গাঁজা, বিভিন্ন নেশাদ্রব্য ও নেশা খাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হল টিউটর আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করা হয়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুল ইসলাম মামুনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর ও প্রভাষক শাহরিয়ার মাহমুদ মিনার এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজির প্রভাষক মো. শাহেদ আলম।

ঢাকাpublician todayইন্টারন্যাশনালpublician todayইউনিভার্সিটি

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, প্রশাসনের এ পদক্ষেপ হলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শন করেছে। তাদের মতে, নিয়মিত তদারকি করলে এ ধরনের অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। শুধুমাত্র যাদের কক্ষ থেকে নেশাদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে তাই নয়, অন্য কোনো শিক্ষার্থীও জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

গাঁজাসহ নেশাদ্রব্য উদ্ধারের বিষয়ে উপাচার্য ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষাঙ্গনে নেশা বা অসামাজিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। প্রক্টোরিয়াল টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

অভিযুক্তদের নাম ও রুম নাম্বার প্রকাশ না করে তদন্ত কমিটির প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মো. আতিকুল ইসলাম মামুন জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে করা হবে। তদন্ত শেষ করতে ১০–১২ দিন সময় লাগবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সরাসরি সিট বাতিলসহ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম