০৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইবি’তে ইকসু গঠনে ‘মার্চ ফর ইকসু’, নভেম্বরে নির্বাচনের আশ্বাস

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৭:২৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / 59

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের রোডম্যাপের দাবিতে ‘মার্চ ফর ইকসু’ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা। সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা দুইটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে একত্রিত হয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরে সেখান থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা। এসময় আগামী সপ্তাহের মধ্যে কমিটি গঠনসহ নভেম্বরের মধ্য সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এ সময় উপাচার্য ছাড়াও সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক খান, ইকসু গঠন আন্দোলনের বোরহান উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাবৃন্দ।

ছাত্র সংসদ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ করা সহজ কারণ তাদের গঠনতন্ত্রে আগে থেকেই আইন আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু আইনগত অনুমোদন নেই সেহেতু এটা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমি ছাত্রদের সাথে আলাপ করবো বলেছিলাম। তবে ছাত্র সংসদ যদি আইনগত ভাবে না হয় সেক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সেন্ট্রাল বাজেট হয়,সেখানে ডাকসুর বাজেট হয় এবং ডাকসুর প্রত্যেক সম্পাদকের বিপরীতে বাজেট আছে। এই বাজেট দেওয়ার জন্য একটা লিগ্যাল সেটেলমেন্ট দরকার। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।

তিনি ছাত্র সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, ইকসু ছাত্রদের দাবি। অবশ্যই এই দাবি পূরণ করবো। বর্তমানে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট অনেক আইন করেছেন। আমরা পার্লামেন্টের অপেক্ষা না করে এই আইন অনুযায়ী যেভাবে আগাতে পারি সেটা হলো, শিক্ষকদের মধ্যে থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এবং ছাত্রদের মধ্যে থেকে কয়েকজন নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করে একসাথে কাজ করবে। বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য যে গঠনতন্ত্র আছে সেটি এনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। সেটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন হলে ইউজিসিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ইউজিসিতে শিক্ষক এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব দলকে যোগাযোগের সুযোগ করে দিবো। অনুমোদন হয়ে গেলে সেখান থেকে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারপর কেবিনেটে গেলে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ আইন পাশ হয়ে যাবে।

সার্বিক বিষয়ে সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজ আমরা ইকসুর দাবি নিয়ে যে মার্চ ফর ইকসু একটি সম্মিলিত প্লাটফর্ম গঠন করেছিলাম, সে জায়গা থেকেই আজকে আমরা উপাচার্যের স্যারের দেখা করেছি। তিনি আমাদের নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের আউটলাইন দিয়েছেন। এছাড়াও ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে যেটি ইকসু গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করবে। আশা করি এই আউট লাইনের মধ্যে সকল ধরনের কাজ শেষ হবে।”

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম

শেয়ার করুন

ইবি’তে ইকসু গঠনে ‘মার্চ ফর ইকসু’, নভেম্বরে নির্বাচনের আশ্বাস

প্রকাশিত: ০৭:২৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের রোডম্যাপের দাবিতে ‘মার্চ ফর ইকসু’ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা। সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা দুইটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে একত্রিত হয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরে সেখান থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা। এসময় আগামী সপ্তাহের মধ্যে কমিটি গঠনসহ নভেম্বরের মধ্য সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এ সময় উপাচার্য ছাড়াও সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক খান, ইকসু গঠন আন্দোলনের বোরহান উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাবৃন্দ।

ছাত্র সংসদ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ করা সহজ কারণ তাদের গঠনতন্ত্রে আগে থেকেই আইন আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু আইনগত অনুমোদন নেই সেহেতু এটা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমি ছাত্রদের সাথে আলাপ করবো বলেছিলাম। তবে ছাত্র সংসদ যদি আইনগত ভাবে না হয় সেক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সেন্ট্রাল বাজেট হয়,সেখানে ডাকসুর বাজেট হয় এবং ডাকসুর প্রত্যেক সম্পাদকের বিপরীতে বাজেট আছে। এই বাজেট দেওয়ার জন্য একটা লিগ্যাল সেটেলমেন্ট দরকার। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।

তিনি ছাত্র সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, ইকসু ছাত্রদের দাবি। অবশ্যই এই দাবি পূরণ করবো। বর্তমানে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট অনেক আইন করেছেন। আমরা পার্লামেন্টের অপেক্ষা না করে এই আইন অনুযায়ী যেভাবে আগাতে পারি সেটা হলো, শিক্ষকদের মধ্যে থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এবং ছাত্রদের মধ্যে থেকে কয়েকজন নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করে একসাথে কাজ করবে। বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য যে গঠনতন্ত্র আছে সেটি এনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। সেটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন হলে ইউজিসিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ইউজিসিতে শিক্ষক এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব দলকে যোগাযোগের সুযোগ করে দিবো। অনুমোদন হয়ে গেলে সেখান থেকে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারপর কেবিনেটে গেলে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ আইন পাশ হয়ে যাবে।

সার্বিক বিষয়ে সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজ আমরা ইকসুর দাবি নিয়ে যে মার্চ ফর ইকসু একটি সম্মিলিত প্লাটফর্ম গঠন করেছিলাম, সে জায়গা থেকেই আজকে আমরা উপাচার্যের স্যারের দেখা করেছি। তিনি আমাদের নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের আউটলাইন দিয়েছেন। এছাড়াও ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে যেটি ইকসু গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করবে। আশা করি এই আউট লাইনের মধ্যে সকল ধরনের কাজ শেষ হবে।”

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম