আন্দোলনরত ববি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় নৌবাহিনী, ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ
- প্রকাশিত: ০৭:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / 135
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবহনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের দাবিতে আন্দোলনরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে নৌবাহিনীর কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে পূর্বঘোষিত তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি আটকা পড়লে কিছু সদস্য গাড়ি থেকে নেমে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নৌবাহিনীর গাড়িগুলো বিপরীত দিক দিয়ে সামনে এগোতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে নৌবাহিনীর কিছু সদস্য লাঠি ও বন্দুক হাতে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং এক শিক্ষার্থীকে টেনে হিচড়ে নিয়ে গায়ে হাত তোলেন।
ভূতত্ত্ব ও খনি বিদ্যাবিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব মিয়া বলেন, “আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ করছিলাম। তখন নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি উল্টো পথে এসে জরুরী পথও আটকে দেয়। তখন বাঁধা দিলে তারা আমার গায়ে হাত তোলে এবং আমাকে গলা চেপে ধরে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আমাকে সেভ করে।”
নৌবাহিনীর হামলার শিকার শিক্ষার্থী মোশারফ বলেন, “আমরা জনদূর্ভোগ চাই না তবে আজকের আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যারা অশান্ত করেছে তাদের বিচার না হওয়া অবধি আমরা আন্দোলন থামাবো না।”
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নৌবাহিনীর গাড়িগুলো আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। দফায় দফায় আলোচনার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপাচার্য ড. মো. তৌফিক আলমের উপস্থিতিতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এলএসজিআই বাচ্চু ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আজকের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আর যারা ভুল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে এবং অপরাধীদের শাস্তির আশ্বাস পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে নৌবাহিনীর আটককৃত গাড়ি তিনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নৌবাহিনীর গাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা হয়েছে৷
পাবলিকিয়ান টুডে/ এম