গৃহকর্মীদের ন্যায্য মজুরি ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে দাবি
- প্রকাশিত: ০৯:৩১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 161
গৃহকর্মীদের অধিকার, সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সরকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, সরকার ২০১৫ সালে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি গ্রহণ এবং আইএলও কনভেনশন–১৮৯ সমর্থন করলেও গৃহকর্মীরা এখনো আইনগত স্বীকৃতি, চাকরির চুক্তি, ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। ফলে তারা নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়ার এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হলে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরাম আয়োজিত সংলাপে এ দাবি জানানো হয়। “সময় এখন, গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির। শ্রমিক হিসেবে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির” শীর্ষক এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদপুর গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের সভাপতি হুমায়ারা বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র অধিকারী।

সংলাপে বক্তব্য দেন সমাজসেবা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফসিহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাসরিন আহমেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহসান হাবিব বুলবুল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শিল্পী সাহা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শাহিদা পারভীন শিখা, সুনীতি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আফরিন আক্তারসহ অনেকে।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহকর্মের কাজ আর অদৃশ্য থাকতে পারে না। এ কাজে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, তদারকি ও শোষণ-নির্যাতন রোধে শক্তিশালী ব্যবস্থা জরুরি। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ইতোমধ্যে ২৮টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ও সামাজিক সুরক্ষার কাঠামোর আওতায় আনার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, সরকার গৃহকর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং তাদের অধিকার, ন্যায্য আচরণ ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
বক্তারা বলেন, টেকসই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি হলো সম্মিলিত সহযোগিতা। সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে গৃহকর্মীদের দক্ষতা, স্বীকৃতি ও মর্যাদা অর্জনের পথ সুগম হবে।