জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে ঘোষণা আসে—
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী জিরো পয়েন্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস অভিমুখে লং মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে—
“সিন্ডিকেটের কালো হাত, গুঁড়িয়ে দাও”,
“শিক্ষার্থীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন”,
“বাণিজ্যিক শিক্ষার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ”।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজ সরকার বলেন—
“ফি বৃদ্ধির মাত্রা অস্বাভাবিক, অথচ উন্নতি শূন্য। শিক্ষাকে বাণিজ্যে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের শোষণ করা হচ্ছে। এটি আর ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নয়, যেন ‘জাতীয় বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয়’।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র তৃতীয় বর্ষেই প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এতে আদায় হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা; কিন্তু কলেজগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয় মাত্র ২০ কোটি।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায়, সেখানে মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ৭৯৫ টাকা।
এমনকি প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটিকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি ভ্যাট জমা দিতে হয়— যা শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় বাধা।
২০২৩ সালের এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা জানান— জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবারের গড় মাসিক আয় মাত্র ১০ হাজার টাকা। এমন বাস্তবতায় বর্তমান ফি কাঠামো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অসহনীয়।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন—
যতক্ষণ না ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
পাবলিকিয়ান টুডে/ এসএইচ | ফেসবুক