মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে জার্মানি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কয়েকজন নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বুধবার জার্মান প্রেস এজেন্সি (ডিপিএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য একটি কার্যকর পুলিশ বাহিনী অপরিহার্য। সেই কারণেই আমি ফেডারেল পুলিশের একটি উচ্চপদস্থ দলকে জেরুজালেমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দলটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর পুনর্গঠন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। কর্মকর্তারা জেরুজালেমের অফিস ফর সিকিউরিটি (ওএসসি) থেকে কাজ পরিচালনা করছেন।
প্রাথমিকভাবে চার সদস্যের এই দলটি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। তাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জার্মানির দীর্ঘদিনের পুলিশ সহযোগিতা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া।
জার্মানি গত ১৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনে পুলিশ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ডিপিএ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইইউবাম রাফাহ’ মিশন আবারও কার্যকর হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ সীমান্তে নিরপেক্ষ উপস্থিতি বজায় রাখা।
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এই মিশনে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে, যারা ইসরায়েলের রামাত গান-এ অবস্থান করছেন। এখান থেকেই সব ধরনের সমন্বয় ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা হয়।
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি পুলিশ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উন্নয়নে কাজ করা ‘ইইউপোল কপস’ মিশনে জার্মানির অংশগ্রহণ আগামী জানুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হবে। এর আগে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত একজন জার্মান কর্মকর্তা সেখানে কর্মরত ছিলেন।
অন্যদিকে, গাজা উপত্যকার স্থিতিশীলতা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর তিনজন কর্মকর্তা বর্তমানে দক্ষিণ ইসরায়েলে অবস্থান করছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সেনারা ইউনিফর্ম পরিহিত হলেও অস্ত্রবিহীন, এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (সিএমসিসি)-এর অধীনে কাজ করছেন।
পাবলিকিয়ান টুডে/ এম | ফেসবুক