০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাভাবিপ্রবিতে কোটা বাতিল আন্দোলন: ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • / 29

 

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাভাবিপ্রবি থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, আজ শনিবার সকাল ৮ ঘটিকা থেকেই  বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়। এরপর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। টাঙ্গাইল শহর থেকে পায়ে হেঁটে এসে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। সকাল ১০.৩০ ঘটিকা থেকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নেন।  

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের নগর জলফৈ (বাইপাস) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন। ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শেখ হাসিনার বাংলার- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, কোটা না মেধা মেধা-মেধা, মেধা যার- চাকরি তার সহ বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলনকে মুখরিত করে তোলে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানবাহন চলাচল থেমে যায়।  অ্যাম্বুলেন্সসহ সকল জরুরি যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকুরিতে করার আগ্রহও হারাবে।

সমাবেশে  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং  বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,  এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।

************

রুপা মজুমদার
 মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

শেয়ার করুন

মাভাবিপ্রবিতে কোটা বাতিল আন্দোলন: ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

 

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাভাবিপ্রবি থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, আজ শনিবার সকাল ৮ ঘটিকা থেকেই  বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়। এরপর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। টাঙ্গাইল শহর থেকে পায়ে হেঁটে এসে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। সকাল ১০.৩০ ঘটিকা থেকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নেন।  

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের নগর জলফৈ (বাইপাস) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন। ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শেখ হাসিনার বাংলার- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, কোটা না মেধা মেধা-মেধা, মেধা যার- চাকরি তার সহ বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলনকে মুখরিত করে তোলে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানবাহন চলাচল থেমে যায়।  অ্যাম্বুলেন্সসহ সকল জরুরি যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকুরিতে করার আগ্রহও হারাবে।

সমাবেশে  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং  বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,  এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।

************

রুপা মজুমদার
 মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি