খাসির মাংসের সাথে টাকা, তরকারীর ভিতর রাবার ব্যান্ডের পর এবার পাওয়া গেলো ডিম ভাজির সাথে তেলাপোকার ফ্রাই। এমনি ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে।

আজ বুধবার (১০ জুলাই) রাতে ঐ হলের ক্যান্টিনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন খাবার খাইতে গেলে এই দৃশ্যের সম্মুখীন হন বলে জানান।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন প্রতিদিনের ন্যায় খাবার খাইতে গেলে তেলাপিয়া মাছ আর ডিম ভাজি অর্ডার করলে, প্লেটে ডিমভাজি ঢেলার পর ভাজা তেলাপোকা দেখতে পান। ক্যান্টিন মালিককে এ ব্যাপারে অবহিত করলে সে গুরুত্ব দেয় নি বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

জহুরুল হল হল ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে যেনো আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। এর আগেও খাবারে ভিতর ঘাস ফড়িং পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলেও ক্যান্টিন মালিক হাবিব তোয়াক্কা করেন না,তার নাম অনুসারে নাকি এই ক্যান্টিনের নামকরণ করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,আমি আজকে রাতে যখন খেতে যাই, তখন ক্যান্টিনে ভাত নিয়ে তরকারি আনতে গিয়েছিলাম । তরকারি এনে যখন খেতে বসি তখন দেখি যে ডিম ভাজি ও মাছের ঝোল এর মাঝে তেলাপোকা ।তখন এ ক্যান্টিন বয় ও ক্যাশ বক্স এর বয় কে দেখালাম বললাম এই সব কি! তখন ক্যান্টিন মালিক হাবিব বলতেছে, ভুল করে নাকি দিছে।আমার কথার কোনো গুরুপ্ত দিলো না। তারপর আমি চলে এসেছিলাম।

এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্লাটফর্ম ‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদে’ পোস্ট করা হলে তা রীতিমত ভাইরাল হয়।

এ বিষয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদে পোস্ট করে লেখেন,জহু হলের হাবিব’স ডাইনে তেলাপোকার রেসিপি পাওয়া যায়।দুই দিন আগে শাক নিয়েছিলাম,সেখানে দেখি ঘাসফড়িং এর রেসিপি।কি যে খাওয়াচ্ছে আমাদেরকে আল্লাহ ভালো জানেন।বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এসব খেয়ে যেতে হয় নিয়মিত, কর্তৃপক্ষ তো ভালোই খাচ্ছে,এসব দেখার কে আছে!বাজে লেভেলের অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে থাকতে হচ্ছে আমাদের।

খাবারের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে ক্যান্টিন মালিক হাবিব কে একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করে নি

ঢাবি প্রতিনিধি