০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হলে ফিরছেন ইবি শিক্ষার্থীরা, ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে যা জানা গেলো

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০১:২১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / 35

ইবি প্রতিনিধি :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যায়। সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পর পুনরায় হলে ফিরতে শুরু করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ক্লাস-পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুরুর দুইদিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

সুদূর গাজীপুর থেকে আসা সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম বলেন, শুরুতে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় এখন ক্যাম্পাসে ফিরে আসছি। এখন মনে হচ্ছে যেনো নিজে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ম্যানার শিখানোর নামে যে নোংরা সংস্কৃতির চর্চা হতো সেটাও এখন নিপাত যাবে আশাকরি।

এদিকে ক্লাস পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলেও বিভাগের পক্ষ থেকে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে কোনো নোটিশ না পাওয়ায় ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। যদি বিভাগ থেকে ক্লাসের নোটিশ আকারে জানিয়ে দেয়া হতো তাহলে আমাদের অনিশ্চয়তাটা থাকতো না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণার পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শুরুর দিকে এটা কম থাকলেও এখন তাদের উপস্থিতি অনেক বাড়ছে। আশাকরি শুক্রবারের মধ্যেই সবাই ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। আমার আহ্বান থাকবে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা যেনো দ্রুত হলে আসে এবং দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা করে।

এদিকে ক্লাস পরীক্ষার বিষয়ে একাধিক বিভাগের সভাপতির সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের এবং তারা ক্লাস-পরীক্ষার ব্যপারে মতামত প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ফকরুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করতে কোনো সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখে আমরা শনিবারেই ক্লাস-পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবো। আশকরি শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত হয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশকিছু শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার রুটিন হয়েছিলো। সেগুলোও শনিবার বসে পুনরায় রুটিন প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার আয়োজন করবো।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তো খোলা ই আছে। সরকার গঠন হয়ে গেলে শিক্ষকদের ডেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বলবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা ব্রিফিং রয়েছে সেখানে নির্দেশনা প্রদান করা হলে সে মোতাবেক আমরা আগাবো। আশাকরি আগামীকাল সকালেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

শেয়ার করুন

হলে ফিরছেন ইবি শিক্ষার্থীরা, ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে যা জানা গেলো

প্রকাশিত: ০১:২১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যায়। সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পর পুনরায় হলে ফিরতে শুরু করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ক্লাস-পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুরুর দুইদিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

সুদূর গাজীপুর থেকে আসা সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম বলেন, শুরুতে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় এখন ক্যাম্পাসে ফিরে আসছি। এখন মনে হচ্ছে যেনো নিজে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ম্যানার শিখানোর নামে যে নোংরা সংস্কৃতির চর্চা হতো সেটাও এখন নিপাত যাবে আশাকরি।

এদিকে ক্লাস পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলেও বিভাগের পক্ষ থেকে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে কোনো নোটিশ না পাওয়ায় ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। যদি বিভাগ থেকে ক্লাসের নোটিশ আকারে জানিয়ে দেয়া হতো তাহলে আমাদের অনিশ্চয়তাটা থাকতো না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণার পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শুরুর দিকে এটা কম থাকলেও এখন তাদের উপস্থিতি অনেক বাড়ছে। আশাকরি শুক্রবারের মধ্যেই সবাই ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। আমার আহ্বান থাকবে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা যেনো দ্রুত হলে আসে এবং দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা করে।

এদিকে ক্লাস পরীক্ষার বিষয়ে একাধিক বিভাগের সভাপতির সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের এবং তারা ক্লাস-পরীক্ষার ব্যপারে মতামত প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ফকরুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করতে কোনো সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখে আমরা শনিবারেই ক্লাস-পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবো। আশকরি শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত হয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশকিছু শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার রুটিন হয়েছিলো। সেগুলোও শনিবার বসে পুনরায় রুটিন প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার আয়োজন করবো।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তো খোলা ই আছে। সরকার গঠন হয়ে গেলে শিক্ষকদের ডেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বলবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা ব্রিফিং রয়েছে সেখানে নির্দেশনা প্রদান করা হলে সে মোতাবেক আমরা আগাবো। আশাকরি আগামীকাল সকালেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।