১০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোকানে খেয়ে বিল না দেয়ার অভিযোগ শেকৃবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে, অত:পর বিল পরিশোধ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৮:১০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 30

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর আলির বিরুদ্ধে চায়ের ও ভাজাপোড়ার দোকানে খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় বাকি খেয়ে পরিশোধ করেননি এই শিক্ষক।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক উমর আলি ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই বাকি খেতেন হলের দোকান গুলোতে। একই সাথে বিভিন্ন মিছিল মিটিং শেষে তার অনুসারীদের‌ও বাকি খাওয়াতেন। এভাবে শেরেবাংলা হলের সামনের ভাজাপোড়ার দোকানে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা এবং চায়ের দোকানে প্রায় ১০ হাজার টাকা বাকি করেছেন তিনি। তবে শিক্ষক হয়ে যাবার দীর্ঘদিন পরেও তা পরিশোধ করেননি তিনি।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো ও মূল্য নির্ধারণ করতে গেলে পূর্বের  বাকি খাওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেন ভাজাপোড়া ও চায়ের দোকানি। তবে এরপরই বাকি টাকা পরিশোধ করেছেন এই শিক্ষক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাজাপোড়ার দোকানি রিপন এবং চায়ের দোকানি মান্নান উভয়ই বলেন, ছাত্রলীগ করার কারনে ভয়ে টাকা চায়তে পারিনি। আগে একবার টাকা চাইলে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছিল।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো: উমর আলি মল্লিক বলেন, আমার নামে এত বাকি হয়েছে আমি জানতাম না। রাজনীতি করলে কিছু লোকবল থাকে। তারাই আমার নাম বলে ওখানে বাকি করে খেয়েছে। আমি জানতে পারার সাথে সাথে তাকে টাকা পরিশোধ করে দেই। এতদিন পর  কিভাবে জানতে পারলেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানিরা ভয়ে আমাকে বাকির বিষয়ে কিছু বলেনি আগে। আমি জানার পরেই তাদেরকে বাকির টাকা পরিশোধ করেছি।

শেয়ার করুন

দোকানে খেয়ে বিল না দেয়ার অভিযোগ শেকৃবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে, অত:পর বিল পরিশোধ

প্রকাশিত: ০৮:১০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর আলির বিরুদ্ধে চায়ের ও ভাজাপোড়ার দোকানে খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় বাকি খেয়ে পরিশোধ করেননি এই শিক্ষক।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক উমর আলি ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই বাকি খেতেন হলের দোকান গুলোতে। একই সাথে বিভিন্ন মিছিল মিটিং শেষে তার অনুসারীদের‌ও বাকি খাওয়াতেন। এভাবে শেরেবাংলা হলের সামনের ভাজাপোড়ার দোকানে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা এবং চায়ের দোকানে প্রায় ১০ হাজার টাকা বাকি করেছেন তিনি। তবে শিক্ষক হয়ে যাবার দীর্ঘদিন পরেও তা পরিশোধ করেননি তিনি।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো ও মূল্য নির্ধারণ করতে গেলে পূর্বের  বাকি খাওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেন ভাজাপোড়া ও চায়ের দোকানি। তবে এরপরই বাকি টাকা পরিশোধ করেছেন এই শিক্ষক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাজাপোড়ার দোকানি রিপন এবং চায়ের দোকানি মান্নান উভয়ই বলেন, ছাত্রলীগ করার কারনে ভয়ে টাকা চায়তে পারিনি। আগে একবার টাকা চাইলে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছিল।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো: উমর আলি মল্লিক বলেন, আমার নামে এত বাকি হয়েছে আমি জানতাম না। রাজনীতি করলে কিছু লোকবল থাকে। তারাই আমার নাম বলে ওখানে বাকি করে খেয়েছে। আমি জানতে পারার সাথে সাথে তাকে টাকা পরিশোধ করে দেই। এতদিন পর  কিভাবে জানতে পারলেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানিরা ভয়ে আমাকে বাকির বিষয়ে কিছু বলেনি আগে। আমি জানার পরেই তাদেরকে বাকির টাকা পরিশোধ করেছি।