১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকের কাছে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৫:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 26

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( নোবিপ্রবি) এর নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন নোবিপ্রবির ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। নবনিযুক্ত নোবিপ্রবির প্রশাসকের কাছে ১১ দফা দাবি পেশ করেছে নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

১লা সেপ্টেম্বর ( রবিবার) দুপুর নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে বৈঠকে অংশ নেয় নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ হতে তৎক্ষনাৎ এক বৈঠকে কিছু দাবী পেশ করা হয়:

১। অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে হবে। স্ব স্ব বিভাগ তাদের নিজেদের অবস্থানুযায়ী অনলাইন/অফলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে পরামর্শ পূর্বক দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২। ১২ সপ্তাহের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করার ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

৩। সিটি, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন এর নম্বর অনধিক ৭ কার্যদিবসের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে।

৪। সেমিস্টার পরীক্ষার ক্ষেত্রে আলাদা করে শিক্ষার্থীদের জন্য আইডি কার্ডের ব্যাবস্থা করতে হবে।

৫। যেসকল ব্যাচের ডিফেন্স,ভাইভা ও ল্যাবের জন্যে ফলাফল স্থগিত রয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। বন্যাকবলিত কিংবা অসুস্থতার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যাবস্থা (অনলাইন) রাখতে হবে।

৬। হল সমুহ সংস্কার করতে হবে এবং হলের ডাইনিং, রিডিংরুম উন্নতিকরণসহ যাবতীয় সমস্যা হল প্রভোস্টের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে তা দেখাতে হবে।

৮। যে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিলো এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হামলা, নানান ভাবে হয়রানি ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়েছিলো তাদের প্রত্যেককেই অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে যারা সুযোগের অপব্যবহার করে অন্যায় ও দুর্নীতি করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় স্হাপনাগুলোতে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে।

১০। মেয়েদের হলে মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। অভিযানের নাম করে কোনো পুরুষ শিক্ষক/প্রশাসক যেন মেয়েদের হলে প্রবেশ না করে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

১১। প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানকে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসতে হবে এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নিয়েই বিভাগ পরিচালনা করতে হবে।গুগল ফর্মের মাধ্যমে পাঠানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের  দাবি সমূহকে একত্রিত ও পরিমার্জন সাপেক্ষে সংস্কার বিষয়ক দাবীগুলো পরবর্তীতে আবার প্রদান করা হবে।

এসময়ে নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন বলেন, একটি সুন্দর ক্যাম্পাস গঠনে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্যারের নিকট আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আমাদের প্রত্যাশাগুলোকে ১১ দফা দাবি হিসেবে আজকে পেশ করছি। আশা করি ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্যার বিষয়গুলো বিবেচনা করে গ্রহণ করবেন।

শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকের কাছে

প্রকাশিত: ০৫:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( নোবিপ্রবি) এর নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন নোবিপ্রবির ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। নবনিযুক্ত নোবিপ্রবির প্রশাসকের কাছে ১১ দফা দাবি পেশ করেছে নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

১লা সেপ্টেম্বর ( রবিবার) দুপুর নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে বৈঠকে অংশ নেয় নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ হতে তৎক্ষনাৎ এক বৈঠকে কিছু দাবী পেশ করা হয়:

১। অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে হবে। স্ব স্ব বিভাগ তাদের নিজেদের অবস্থানুযায়ী অনলাইন/অফলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে পরামর্শ পূর্বক দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২। ১২ সপ্তাহের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করার ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

৩। সিটি, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন এর নম্বর অনধিক ৭ কার্যদিবসের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে।

৪। সেমিস্টার পরীক্ষার ক্ষেত্রে আলাদা করে শিক্ষার্থীদের জন্য আইডি কার্ডের ব্যাবস্থা করতে হবে।

৫। যেসকল ব্যাচের ডিফেন্স,ভাইভা ও ল্যাবের জন্যে ফলাফল স্থগিত রয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। বন্যাকবলিত কিংবা অসুস্থতার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যাবস্থা (অনলাইন) রাখতে হবে।

৬। হল সমুহ সংস্কার করতে হবে এবং হলের ডাইনিং, রিডিংরুম উন্নতিকরণসহ যাবতীয় সমস্যা হল প্রভোস্টের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে তা দেখাতে হবে।

৮। যে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিলো এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হামলা, নানান ভাবে হয়রানি ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়েছিলো তাদের প্রত্যেককেই অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে যারা সুযোগের অপব্যবহার করে অন্যায় ও দুর্নীতি করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় স্হাপনাগুলোতে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে।

১০। মেয়েদের হলে মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। অভিযানের নাম করে কোনো পুরুষ শিক্ষক/প্রশাসক যেন মেয়েদের হলে প্রবেশ না করে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

১১। প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানকে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসতে হবে এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নিয়েই বিভাগ পরিচালনা করতে হবে।গুগল ফর্মের মাধ্যমে পাঠানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের  দাবি সমূহকে একত্রিত ও পরিমার্জন সাপেক্ষে সংস্কার বিষয়ক দাবীগুলো পরবর্তীতে আবার প্রদান করা হবে।

এসময়ে নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন বলেন, একটি সুন্দর ক্যাম্পাস গঠনে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্যারের নিকট আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আমাদের প্রত্যাশাগুলোকে ১১ দফা দাবি হিসেবে আজকে পেশ করছি। আশা করি ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্যার বিষয়গুলো বিবেচনা করে গ্রহণ করবেন।