হাবিপ্রবির সোশ্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের অধিকাংশ ফ্যানই নষ্ট
- প্রকাশিত: ০১:১৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 34
গ্রীষ্মের এই তীব্র গরমেও দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অ্যাকাডেমিক ভবন ড. এম. ওয়াজেদ ভবনের ৫ম তলার অধিকাংশ ফ্যান নষ্ট থাকায় গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন সোশ্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের শিক্ষার্থীরা৷
বৃহস্পতিবার (২৫শে সেপ্টেম্বর) সশরীরে ওয়াজেদ ভবনের ৫ তলার সোশ্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদে গিয়ে দেখা যায় প্রত্যেকটি ক্লাস রুমে ফ্যান থাকলেও অধিকাংশ ফ্যানই দীর্ঘদিন যাবত নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কিন্তুু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত নষ্ট ফ্যান মেরামতে বা পরিবর্তনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ভোগান্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, এমনিতেই দিনাজপুর জেলায় প্রচন্ড গরম, তার উপর আমাদের অনুষদের প্রায় সব ক্লাস রুমেই অধিকাংশ ফ্যান নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। শুধু তাই নয় আমাদের অনুষদ ভবনের টপ ফ্লোরে। এতে করে ক্লাস করতে আমাদের অনেকটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরা দেখছি দীর্ঘদিন যাবত ফ্যানগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুতই নষ্ট ফ্যানগুলো মেরামত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে আমাদেরকে এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা করবে।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২২ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন,২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ১৮৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এরমধ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই বাজেট পাশ হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য হিসেবে “ওয়াজেদ ভবনের সামনে ম্যুরাল” করা ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি। ক্লাসরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, ক্লাসরুমের ফ্যান এবং চেয়ার টেবিলসহ কোনো কিছুই উন্নত করা হয়নি বরং অবনতি হয়েছে। অথচ যে বাজেট পাশ করা হয়েছে তাতে ইচ্ছে করলে এসির ব্যবস্থাও করা সম্ভব, সেখানে আমরা গরমে নাজেহাল হয়ে যাই ফ্যানের বাতাসও পাইনা।
উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গণ্য করা হলেও এর সুযোগ সুবিধা তুলনামূলক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও অতি নগন্য,যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক এবং এই মোটা অঙ্কের বাজেট কোথায় কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আমরা আসলে গতকালই ওয়াজেদ ভবনের ৫ তলায় সোস্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদে গিয়েছিলাম, সেখানে ডীন মহোদয়ের রুমে আমরা বসেছিলাম। সেখানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন মতামতের ভিত্তিতে এমন কথা আসে যে, অনুষদটি টপ ফ্লোরে হওয়ায় প্রচন্ড গরম আর গরমের কারণে অনেক শিক্ষার্থী মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যায়। এমনকি উক্ত অনুষদে অনেক ফ্যান ও লাইট নষ্ট এমন কথা আমরা শুনেছি এবং সেগুলো নোট ডাউন করে রেখেছি।
এ বিষয়ে ভিসি স্যার আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন এই ব্যাপারে কিছু করা যায় কি নাহ। সেই আলোকে আমরা প্লানিং ডিরেক্টরের সাথে কথা বলছি এবং আমরা উক্ত অনুষদের ডীন মহোদয়কেও প্লানিং ডিরেক্টরের সাথে যোগাযোগ করে চাহিদাপত্র দিয়ে কিভাবে এটা সমাধান করা যায় সেইভাবে আগান। সেই সাথে আমাদের প্রশাসনের জায়গা থেকে আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো ৷ সেই ক্ষেত্রে ডকুমেন্টেড করে এগোতে গেলে টেন্ডার করতে গেলে আমাদের একটু সময় লাগবে। এক্ষেত্রে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মো. রাফিউল হুদা /হাবিপ্রবি