০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বেরোবিতে মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০২:১৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 35

ভাঙন ও বন্যার ফলে সৃষ্ট তিস্তাপাড়ের মানুষের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

মানববন্ধনে খোকন ইসলাম বলেন, “উত্তরবঙ্গের জন্য সমস্যা শুধু বন্যা নয়। নদীভাঙনও একটা বড় সমস্যা এ অঞ্চলের জন্য। নদীভাঙনে যখন নদীগর্ভে চলে যায় একজন মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি— তখন তাঁকে একবেলা খাবার বা ত্রাণ দিয়ে আসলে কতটুকু পরিবর্তন আনা যায়?”

তিনি যোগ করেন, “আমরা বাংলাদেশের সকল মানুষের মধ্যে বৈষম্য রোধ করতে চেয়েছি। কিন্তু সেই জায়গাটিতে যখন দেখি উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়, তখন তাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর পূরণ ব্যাহত হয়। এটা যেন না হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রাণের দাবি হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সত্বর দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।”

এ বিষয়ে শামসুর রহমান সুমন বলেন, তিস্তার যে আগ্রাসন, সেই আগ্রাসনের শিকার তিস্তা অববাহিকার মানুষ। তাঁরা বাস্তুহারা হচ্ছে, ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যার ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। এর স্থায়ী সমাধান আমরা দেখছি তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। তিস্তাপাড়ের মানুষ ত্রাণ চায় না। তাঁরা এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চায়। তাই তিস্তা কমিশন গঠন করে, দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই আমরা।

বেরোবি প্রতিনিধি

শেয়ার করুন

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বেরোবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০২:১৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভাঙন ও বন্যার ফলে সৃষ্ট তিস্তাপাড়ের মানুষের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

মানববন্ধনে খোকন ইসলাম বলেন, “উত্তরবঙ্গের জন্য সমস্যা শুধু বন্যা নয়। নদীভাঙনও একটা বড় সমস্যা এ অঞ্চলের জন্য। নদীভাঙনে যখন নদীগর্ভে চলে যায় একজন মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি— তখন তাঁকে একবেলা খাবার বা ত্রাণ দিয়ে আসলে কতটুকু পরিবর্তন আনা যায়?”

তিনি যোগ করেন, “আমরা বাংলাদেশের সকল মানুষের মধ্যে বৈষম্য রোধ করতে চেয়েছি। কিন্তু সেই জায়গাটিতে যখন দেখি উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়, তখন তাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর পূরণ ব্যাহত হয়। এটা যেন না হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রাণের দাবি হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সত্বর দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।”

এ বিষয়ে শামসুর রহমান সুমন বলেন, তিস্তার যে আগ্রাসন, সেই আগ্রাসনের শিকার তিস্তা অববাহিকার মানুষ। তাঁরা বাস্তুহারা হচ্ছে, ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যার ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। এর স্থায়ী সমাধান আমরা দেখছি তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। তিস্তাপাড়ের মানুষ ত্রাণ চায় না। তাঁরা এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চায়। তাই তিস্তা কমিশন গঠন করে, দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই আমরা।

বেরোবি প্রতিনিধি