০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতায় ববি ক্যাম্পাস

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৫:৩৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 44

শ্বেত শুভ্র কাশফুলের নরম পালকে বয়ে বেড়ায় সাদা মেঘের খুনসুটি, হঠাৎ নেমে আসে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর দিগন্তজোড়া বাতাসের হুল্লোর ছুটে চলে এদিক ওদিক। শরৎ শুভ্রতার প্রতীক কাঁশফুল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দ্যোতনা ছড়াচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিকদের মনে।

প্রকৃতিতে পালাবর্তনে প্রতি বছর শরতের আগমনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যে কাঁশফুল যেন অন্যতম সৌন্দর্যের উপকরণ। ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি ভবন আর কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে থোকায় থোকায় কাশফুল যেন হাতছানি দেয় প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের। শরৎ প্রেমিদের কোলাহলে পাল্টে যায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ।

অবসরে প্রিয়জনকে নিয়ে প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে যান প্রকৃতি প্রেমিকেরা। কেউ প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে, কেউ পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়তই ছুটে আসছেন এখানে। সূর্য মামা হেলে পড়ার আগ পর্যন্ত এমন সৌন্দর্য্যে কেউই নিশ্চুপ থাকতে পারেনা। অস্থায়ী এই প্রাকৃতিক রূপ-লাবণ্যে সুন্দর মূহুর্তকে ফ্রেমে বন্দি করতে হিড়িক পড়ে ছবি তোলার।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থী নোমান ইউসুফ বলেন, নাগরিক কোলাহল আর যাপিত জীবনের নানা ব্যস্ততার মাঝে একটু প্রশান্তির খুঁজে এখানে ছুটে আসা। বরিশালের বিভিন্ন স্থানে নগরায়নের ফলে কাঁশফুল অনেকটা হারাতে বসেছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের সাথে কাঁশফুলের সৌন্দর্য দুটি উপভোগ করতে ছুটে এসেছি বন্ধুদের সাথে নিয়ে। সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই কাঁশফুল ছিড়ে যেন সৌন্দর্যকে কেউ নিজ হাতে নষ্ট না করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিক উদ্দিন বলেন, শরতের ফুল, কেউ করে না ভুল দেখিতে তারে। তার সাদা কেশ যেন, সুখ ও শান্তির বাণী নিয়ে আসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। প্রতিবছরই সবার আকাঙ্ক্ষা, মানুষিক শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে নতুনভাবে জীবন পায় এই কাশফুল। রঙিন নীল আকাশের নিচে বাতাসের আবেশে ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় অপরুপ সৌন্দর্য্যের প্রতিচ্ছবি স্বরুপে উপস্থাপিত হয়। ক্যাম্পাসের লাল বিল্ডিং যেন এই কেশের সৌন্দর্য পেতে উদগ্রীব হয়ে থাকে প্রতিবছরই। যখনই কাশফুল তার সুন্দর হাসি উপহার দেয়, তখন লাল বিল্ডিংগুলো তার অপরুপ সুন্দর মনোমুগ্ধকর হাসি দিয়ে কাশফুলের সৌন্দর্যের সাথে একাকিত্ব হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে করে তোলে আরো আকর্ষণীয়, চমৎকার, মনোমুগ্ধকর ও সৌন্দর্যের দাম্ভিক।

মোহাম্মদ এনামুল হোসেন

শেয়ার করুন

শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতায় ববি ক্যাম্পাস

প্রকাশিত: ০৫:৩৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্বেত শুভ্র কাশফুলের নরম পালকে বয়ে বেড়ায় সাদা মেঘের খুনসুটি, হঠাৎ নেমে আসে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর দিগন্তজোড়া বাতাসের হুল্লোর ছুটে চলে এদিক ওদিক। শরৎ শুভ্রতার প্রতীক কাঁশফুল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দ্যোতনা ছড়াচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিকদের মনে।

প্রকৃতিতে পালাবর্তনে প্রতি বছর শরতের আগমনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যে কাঁশফুল যেন অন্যতম সৌন্দর্যের উপকরণ। ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি ভবন আর কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে থোকায় থোকায় কাশফুল যেন হাতছানি দেয় প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের। শরৎ প্রেমিদের কোলাহলে পাল্টে যায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ।

অবসরে প্রিয়জনকে নিয়ে প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে যান প্রকৃতি প্রেমিকেরা। কেউ প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে, কেউ পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়তই ছুটে আসছেন এখানে। সূর্য মামা হেলে পড়ার আগ পর্যন্ত এমন সৌন্দর্য্যে কেউই নিশ্চুপ থাকতে পারেনা। অস্থায়ী এই প্রাকৃতিক রূপ-লাবণ্যে সুন্দর মূহুর্তকে ফ্রেমে বন্দি করতে হিড়িক পড়ে ছবি তোলার।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থী নোমান ইউসুফ বলেন, নাগরিক কোলাহল আর যাপিত জীবনের নানা ব্যস্ততার মাঝে একটু প্রশান্তির খুঁজে এখানে ছুটে আসা। বরিশালের বিভিন্ন স্থানে নগরায়নের ফলে কাঁশফুল অনেকটা হারাতে বসেছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের সাথে কাঁশফুলের সৌন্দর্য দুটি উপভোগ করতে ছুটে এসেছি বন্ধুদের সাথে নিয়ে। সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই কাঁশফুল ছিড়ে যেন সৌন্দর্যকে কেউ নিজ হাতে নষ্ট না করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিক উদ্দিন বলেন, শরতের ফুল, কেউ করে না ভুল দেখিতে তারে। তার সাদা কেশ যেন, সুখ ও শান্তির বাণী নিয়ে আসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। প্রতিবছরই সবার আকাঙ্ক্ষা, মানুষিক শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে নতুনভাবে জীবন পায় এই কাশফুল। রঙিন নীল আকাশের নিচে বাতাসের আবেশে ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় অপরুপ সৌন্দর্য্যের প্রতিচ্ছবি স্বরুপে উপস্থাপিত হয়। ক্যাম্পাসের লাল বিল্ডিং যেন এই কেশের সৌন্দর্য পেতে উদগ্রীব হয়ে থাকে প্রতিবছরই। যখনই কাশফুল তার সুন্দর হাসি উপহার দেয়, তখন লাল বিল্ডিংগুলো তার অপরুপ সুন্দর মনোমুগ্ধকর হাসি দিয়ে কাশফুলের সৌন্দর্যের সাথে একাকিত্ব হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে করে তোলে আরো আকর্ষণীয়, চমৎকার, মনোমুগ্ধকর ও সৌন্দর্যের দাম্ভিক।

মোহাম্মদ এনামুল হোসেন