০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার প্রস্তাব: দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৪:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 36

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার একটি আলোচিত প্রস্তাব সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় দীর্ঘায়িত হওয়া, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, অনেক চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ফলে তারা যথাসময়ে চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর, যা অনেকের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নয়।

দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশী সংগঠন সরকারের কাছে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল। এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে সরকার ২ অক্টোবর একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে, যারা এ প্রস্তাবের ওপর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দেবে গঠিত কমিটি।

এই কমিটির প্রধান করা হয় সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। ২ অক্টোবর, বুধবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা।

সভা শেষে বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয় নিয়ে যে দাবি আসছে সেটা যৌক্তিক মনে করছি আমরা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরির বয়সসীমা নেই। আমরা সেসব বিবেচনায় নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, তারা চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি তুলেছে, যা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ বয়স যেটা বাড়বে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হবে না। হলে স্থায়ীভাবে হবে। পাঁচ বছর পরে আবার সেটি পরিবর্তন হবে এটা ঠিক নয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হবে।”

চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, এটি হাজারো তরুণের জন্য নতুন আশার আলো হতে পারে। বিশেষ করে যারা শিক্ষাজীবনে বিলম্বিত হয়েছেন কিংবা ব্যক্তিগত কারণে চাকরির প্রস্তুতি নিতে সময় নিয়েছেন, তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করতে পারেন।

মোস্তাকিম হোসেন
শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ

শেয়ার করুন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার প্রস্তাব: দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে

প্রকাশিত: ০৪:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার একটি আলোচিত প্রস্তাব সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় দীর্ঘায়িত হওয়া, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, অনেক চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ফলে তারা যথাসময়ে চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর, যা অনেকের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নয়।

দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশী সংগঠন সরকারের কাছে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল। এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে সরকার ২ অক্টোবর একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে, যারা এ প্রস্তাবের ওপর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দেবে গঠিত কমিটি।

এই কমিটির প্রধান করা হয় সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। ২ অক্টোবর, বুধবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা।

সভা শেষে বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয় নিয়ে যে দাবি আসছে সেটা যৌক্তিক মনে করছি আমরা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরির বয়সসীমা নেই। আমরা সেসব বিবেচনায় নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, তারা চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি তুলেছে, যা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ বয়স যেটা বাড়বে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হবে না। হলে স্থায়ীভাবে হবে। পাঁচ বছর পরে আবার সেটি পরিবর্তন হবে এটা ঠিক নয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হবে।”

চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, এটি হাজারো তরুণের জন্য নতুন আশার আলো হতে পারে। বিশেষ করে যারা শিক্ষাজীবনে বিলম্বিত হয়েছেন কিংবা ব্যক্তিগত কারণে চাকরির প্রস্তুতি নিতে সময় নিয়েছেন, তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করতে পারেন।

মোস্তাকিম হোসেন
শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ