বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক টি২০ ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশ দলের হয়ে অসংখ্য ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, বিশেষত টি২০ ফরম্যাটে তার দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং নেতৃত্বগুণের জন্য তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা মনে রাখবে।
মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল গত কিছুদিন ধরে। শেষ কয়েকটি সিরিজে তার পারফরম্যান্স হয়তো সেই পুরোনো উজ্জ্বলতার ছোঁয়া ছাড়িয়ে যায়নি, তবে তার প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা এবং সম্মান ছিল অটুট। অবসরের ঘোষণার সময় মাহমুদউল্লাহ বলেন, “এটা আমার জন্য অত্যন্ত আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি এবং দেশের জন্য আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
সাফল্যের ঝুলি
২০০৭ সালে টি২০ আন্তর্জাতিক অভিষেক করা মাহমুদউল্লাহ দ্রুতই বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়ে পরিণত হন। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন, যার মধ্যে ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার খেলা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক, ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অবসরের পরেও মাহমুদউল্লাহ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান। তিনি কোচিং এবং তরুণ খেলোয়াড়দের পরামর্শ দেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেট জ্ঞান দেশের তরুণ প্রতিভাদের উন্নতিতে সহায়ক হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মাহমুদউল্লাহর অবসরের পর তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, “মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার অবদান অমর হয়ে থাকবে। তার ক্রিকেটের প্রতি নিষ্ঠা এবং দলের প্রতি প্রতিশ্রুতি সবসময়ই আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা।”
মাহমুদউল্লাহর বিদায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক যুগের সমাপ্তি ঘটালেও, তার অবদান চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মোস্তাকিম হোসেন