১২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাকৃবি উপাচার্য ও শিক্ষার্থীদের মতবিনিময়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০১:১৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / 32

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মানোন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করেন তিনি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান বোরহান উদ্দীন, গ্রন্থাগারের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগার খোলা রাখার সময় বৃদ্ধি, ছুটির দিনেও গ্রন্থাগার খোলা রাখা, বইয়ের সংখ্যা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সহজতর সেবা প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন দাবি লিখিত ও মৌখিকভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়া একাডেমিক বই ছাড়াও বিভিন্ন জ্ঞানমূলক ও সাহিত্যচর্চার বইও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক বইয়ের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংস্করণের বই পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা শেষে গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও মান বাড়াতে প্রশিক্ষণ, কর্মচারীর সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় উপাচার্যের নিকট তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘গ্রন্থাগারের ভেতরে ছেলেদের এবং মেয়েদের নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে। ফটোকপি মেশিনও রয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদা খাতা দেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা যেন তাদের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের তালিকা লাইব্রেরিতে জমা দিয়ে যায়।’
শুক্রবার সহ সপ্তাহে সাত দিন গ্রন্থাগার খোলা রাখার দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে সাতদিন লাইব্রেরি খোলা রাখা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন শনিবার সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত (দুপুরের বিরতি সহ) লাইব্রেরি খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’ এছাড়া জায়গা সংকুলানের বিষয়টি নিয়েও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

আলিফ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাকৃবি উপাচার্য ও শিক্ষার্থীদের মতবিনিময়

প্রকাশিত: ০১:১৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মানোন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করেন তিনি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান বোরহান উদ্দীন, গ্রন্থাগারের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগার খোলা রাখার সময় বৃদ্ধি, ছুটির দিনেও গ্রন্থাগার খোলা রাখা, বইয়ের সংখ্যা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সহজতর সেবা প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন দাবি লিখিত ও মৌখিকভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়া একাডেমিক বই ছাড়াও বিভিন্ন জ্ঞানমূলক ও সাহিত্যচর্চার বইও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক বইয়ের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংস্করণের বই পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা শেষে গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও মান বাড়াতে প্রশিক্ষণ, কর্মচারীর সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় উপাচার্যের নিকট তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘গ্রন্থাগারের ভেতরে ছেলেদের এবং মেয়েদের নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে। ফটোকপি মেশিনও রয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদা খাতা দেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা যেন তাদের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের তালিকা লাইব্রেরিতে জমা দিয়ে যায়।’
শুক্রবার সহ সপ্তাহে সাত দিন গ্রন্থাগার খোলা রাখার দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে সাতদিন লাইব্রেরি খোলা রাখা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন শনিবার সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত (দুপুরের বিরতি সহ) লাইব্রেরি খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’ এছাড়া জায়গা সংকুলানের বিষয়টি নিয়েও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

আলিফ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়