বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ৯টার দিকে ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার। ডোপ টেস্টের এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সমন্বয় করছেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান।

শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত কি না ডোপ টেস্টের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করে আবাসিক হলে আসন নিশ্চিত করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। ৩৫০ টাকা খরচে এই টেস্ট করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ডোপ টেস্টের কার্যক্রমে নাম লিখাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ৯ টার দিকে ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম।

কয়েকটি পর্যায়ে করা হচ্ছে ডোপ টেস্ট। প্রথমে শিক্ষার্থীরা ডোপ টেস্টের ফিস জমা দেয়ার ব্যাংক রশিদ দিচ্ছে পরে নাম, বিভাগ,হল এন্ট্রি করছে,তারপর তাকে একটি টোকেন দিয়ে ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে নমুনা সংগ্রহের জন্য। পরে তাকে ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে মোবাইলে ক্ষুদ্র বার্তা জানানো হবে।

ড. আতিয়ার রহমান জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল প্রত্যাশিত ডোপ টেস্টের আজ উদ্ধোধন হলো। এর মাধ্যমে একদিকে গত ১৬ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাদকের বিষয়ে দূর্নাম- বদনাম বহনের যে যোগ্যতা অর্জন করেছে তা থেকে উত্তরণের পথ তৈরি হবে, অন্যদিকে বর্তমান এবং অনাগত ছাত্র ছাত্রীদের এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য মাদককে সম্পূর্ণ না বলবার নতুন মেসেজ তৈরি হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হওয়াতে যেমন ভালো বোধ করছি, তেমনিভাবে এ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ এবং সুসম্পন্নকরনে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সবার জন্যই আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি, ন্যায্যতার খোঁজে ইতিবাচক উদ্যোগের সাথেই থাকবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মাদকসেবন নিয়ন্ত্রণ করে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার জন্য ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের খরচ কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাবে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী এর মাধ্যমে মাদক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পারব।’

নাফিউল,চবি প্রতিনিধি।