০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০১৩ সালে ডাক্তারের ভুলে একটি পা হারিয়েছি, ২০২৪ সালে সন্তান হারালাম

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৬:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 31

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে Evercare Hospital Chattogram শাখায় পৌঁছাই বৃহস্পতিবার (১৯/১২/২৪) ভোর ৫:৩০ এ। পৌঁছেই যে গাইনি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ছিলাম তাকে কল দেই। তিনি ইমার্জেন্সিতে গিয়ে ভর্তি নিতে বললেন। তাই করলাম। ইমার্জেন্সির প্রবেশ-রিপোর্টে মা ও গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ, স্বাভাবিক। পেইনও ছিল বেশ। যার তত্ত্বাবধানে ছিলাম সে ডাক্তারের সাথে কথা ছিল প্রথমে নর্মাল ডেলিভারির চেষ্টা করবেন, কমপ্লিকেটেড হলে সিজারে যাবেন। লেবার ওয়ার্ডে নিয়ে গেলো রোগীকে। তখন প্রায় ৬:৩০ বাজে। ৬:৩০ থেকে ৮:০০ পর্যন্ত ছিল রাতের ডিউটিরত সাধারণ ডাক্তার। তার ডিউটি শেষ হলে তিনি চলে গেলেন। তারপর আরেকজন সাধারণ ডাক্তার রোগী দেখার দায়িত্ব নিলেন। সরকারি মেডিকেলের মত ডাক্তার বদল হচ্ছিলো। ৮:৩০ পর্যন্ত খবর পেলাম সবকিছু সুস্থ । ৮: ৪০ এর দিকে দ্বিতীয় ডাক্তার এসে বললেন আপনার বেবির হার্টবিটে সমস্যা। যার তত্ত্বাবধানে ছিলাম ( ডাক্তার সানজিদা কবির) তিনি তখনো আসেননি। তিনি এলেন ৯:৩০ এ। এসে বললেন বাচ্চার হার্টবিট পাচ্ছি না। ১০:০০ দিকে জানালেন বাচ্চা সম্ভবত বেঁচে নেই। ১০:৫০ নবজাতক বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার জানালেন মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে।

ভাল হাসপাতালে গিয়ে একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকার ও তিনগুণ টাকা দেওয়ার কি গুরুত্ব রইলো যদি ডিউটিরত সাধারণ ডাক্তার দিয়েই চিকিৎসা হয়। দ্বিতীয় ডাক্তারের আনাড়িপনায় আমার বাচ্চার প্রাণ গেছে। আমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসে আমার বাচ্চাকে মৃত পেয়েছেন। যদিও তিনি সিনেমার স্টাইলে বলেছেন বাচ্চার হার্টবিট পাচ্ছি না।
আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। আমার সাথেই যদি এ ব্যবহার হয় তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে তাদের ব্যবহার কেমন! সুন্দর বিল্ডিং আর কিছু চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে কি তবে এভারকিয়ার আসলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান!!!

শেয়ার করুন

২০১৩ সালে ডাক্তারের ভুলে একটি পা হারিয়েছি, ২০২৪ সালে সন্তান হারালাম

প্রকাশিত: ০৬:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে Evercare Hospital Chattogram শাখায় পৌঁছাই বৃহস্পতিবার (১৯/১২/২৪) ভোর ৫:৩০ এ। পৌঁছেই যে গাইনি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ছিলাম তাকে কল দেই। তিনি ইমার্জেন্সিতে গিয়ে ভর্তি নিতে বললেন। তাই করলাম। ইমার্জেন্সির প্রবেশ-রিপোর্টে মা ও গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ, স্বাভাবিক। পেইনও ছিল বেশ। যার তত্ত্বাবধানে ছিলাম সে ডাক্তারের সাথে কথা ছিল প্রথমে নর্মাল ডেলিভারির চেষ্টা করবেন, কমপ্লিকেটেড হলে সিজারে যাবেন। লেবার ওয়ার্ডে নিয়ে গেলো রোগীকে। তখন প্রায় ৬:৩০ বাজে। ৬:৩০ থেকে ৮:০০ পর্যন্ত ছিল রাতের ডিউটিরত সাধারণ ডাক্তার। তার ডিউটি শেষ হলে তিনি চলে গেলেন। তারপর আরেকজন সাধারণ ডাক্তার রোগী দেখার দায়িত্ব নিলেন। সরকারি মেডিকেলের মত ডাক্তার বদল হচ্ছিলো। ৮:৩০ পর্যন্ত খবর পেলাম সবকিছু সুস্থ । ৮: ৪০ এর দিকে দ্বিতীয় ডাক্তার এসে বললেন আপনার বেবির হার্টবিটে সমস্যা। যার তত্ত্বাবধানে ছিলাম ( ডাক্তার সানজিদা কবির) তিনি তখনো আসেননি। তিনি এলেন ৯:৩০ এ। এসে বললেন বাচ্চার হার্টবিট পাচ্ছি না। ১০:০০ দিকে জানালেন বাচ্চা সম্ভবত বেঁচে নেই। ১০:৫০ নবজাতক বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার জানালেন মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে।

ভাল হাসপাতালে গিয়ে একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকার ও তিনগুণ টাকা দেওয়ার কি গুরুত্ব রইলো যদি ডিউটিরত সাধারণ ডাক্তার দিয়েই চিকিৎসা হয়। দ্বিতীয় ডাক্তারের আনাড়িপনায় আমার বাচ্চার প্রাণ গেছে। আমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসে আমার বাচ্চাকে মৃত পেয়েছেন। যদিও তিনি সিনেমার স্টাইলে বলেছেন বাচ্চার হার্টবিট পাচ্ছি না।
আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। আমার সাথেই যদি এ ব্যবহার হয় তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে তাদের ব্যবহার কেমন! সুন্দর বিল্ডিং আর কিছু চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে কি তবে এভারকিয়ার আসলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান!!!