০৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাবিপ্রবি ছাত্রদল কর্মীর উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিবিরকে ফাঁসানোর চেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১১:২৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 34

sust-শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা এবং পরে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শেখ ফাকাব্বির সিন (সমুদ্রবিজ্ঞান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরণ
গত রবিবার রাতে শাহপরাণ হলের ৪৩৬নং কক্ষে শেখ ফাকাব্বির সিন প্রবেশ করে উচ্চবাক্য ও ঝামেলা শুরু করেন। তিনি চাকু নিয়ে আমিরুল নামে এক শিক্ষার্থীকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। আমিরুল কৌশলে রুম থেকে বের হয়ে প্রক্টরকে জানায় এবং রুমে আটকে রাখা হয়। রুমে আটকে থাকা অবস্থায় সে রাত সাড়ে দশটায় নিজের শরীরের কিছু আঁচড়ের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন শিবিরের ছেলেরা তাকে আটকিয়ে কুপিয়েছে।পরে প্রক্টর ও প্রোভোস্ট এসে তাকে একটা চাকুসহ উদ্ধার করে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়।

প্রক্টর অফিস থেকে বের হয়ে তিনি আরেক পোস্টে লেখেন আগের পোস্টটি মিথ্যা ছিল এবং শিবিরকে খারাপভাবে উপস্থাপনের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছি।

প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুকলেসুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই । গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। সে শিবিরের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল সেটি সে তুলে নিয়েছে। বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য ৪সদস্যের একটি কমিটি সুপারিশ করা হয়েছে।

উক্ত আবাসিক হল এর প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ বলেন বিষয়টা খুবই ন্যাক্কারজনক। ঘটনাটি আমরা সঠিক সময়ে অ্যাড্রেস করেছি নয়তো বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিতো। যেটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারতো। আমরা সকলেই চাই তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তের একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক।

শিবিরের প্রতিক্রিয়া শাহপরাণ হলের ঐ রুমে শিবিরের সদস্য নেই উল্লেখ করে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন বলেন শিবিরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় করার প্রচেষ্টা এটি। আমরা দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা চাই।

ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের বক্তব্য, অভিযুক্ত আমাকে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছিল। আমি নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গ্রুপে পোস্ট দিতে বলি। তবে কে তাকে মেরেছে, সে বিষয়ে আমি জানি না।

অভিযুক্তকে ফোন করে বক্তব্য নিতে চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

শাবিপ্রবি ছাত্রদল কর্মীর উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিবিরকে ফাঁসানোর চেষ্টা

প্রকাশিত: ১১:২৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা এবং পরে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শেখ ফাকাব্বির সিন (সমুদ্রবিজ্ঞান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরণ
গত রবিবার রাতে শাহপরাণ হলের ৪৩৬নং কক্ষে শেখ ফাকাব্বির সিন প্রবেশ করে উচ্চবাক্য ও ঝামেলা শুরু করেন। তিনি চাকু নিয়ে আমিরুল নামে এক শিক্ষার্থীকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। আমিরুল কৌশলে রুম থেকে বের হয়ে প্রক্টরকে জানায় এবং রুমে আটকে রাখা হয়। রুমে আটকে থাকা অবস্থায় সে রাত সাড়ে দশটায় নিজের শরীরের কিছু আঁচড়ের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন শিবিরের ছেলেরা তাকে আটকিয়ে কুপিয়েছে।পরে প্রক্টর ও প্রোভোস্ট এসে তাকে একটা চাকুসহ উদ্ধার করে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়।

প্রক্টর অফিস থেকে বের হয়ে তিনি আরেক পোস্টে লেখেন আগের পোস্টটি মিথ্যা ছিল এবং শিবিরকে খারাপভাবে উপস্থাপনের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছি।

প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুকলেসুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই । গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। সে শিবিরের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল সেটি সে তুলে নিয়েছে। বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য ৪সদস্যের একটি কমিটি সুপারিশ করা হয়েছে।

উক্ত আবাসিক হল এর প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ বলেন বিষয়টা খুবই ন্যাক্কারজনক। ঘটনাটি আমরা সঠিক সময়ে অ্যাড্রেস করেছি নয়তো বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিতো। যেটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারতো। আমরা সকলেই চাই তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তের একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক।

শিবিরের প্রতিক্রিয়া শাহপরাণ হলের ঐ রুমে শিবিরের সদস্য নেই উল্লেখ করে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন বলেন শিবিরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় করার প্রচেষ্টা এটি। আমরা দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা চাই।

ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের বক্তব্য, অভিযুক্ত আমাকে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছিল। আমি নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গ্রুপে পোস্ট দিতে বলি। তবে কে তাকে মেরেছে, সে বিষয়ে আমি জানি না।

অভিযুক্তকে ফোন করে বক্তব্য নিতে চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।