বেরোবি প্রতিনিধি :

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে সিট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ আহত হয় অন্তত ৭ জন। সংঘর্ষ হয়ে এখনও চলমান। 

এতে আহত ৫ শিক্ষার্থীকে দ্রুত রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। আহত হাসপাতালে পাঠানো ঐ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের ২ এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৩ শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি)  রাত সাড়ে ৮ টায় ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে এবং আবু সাঈদ চত্ত্বর সংলগ্ন মূল ফটকে দুই বিভাগের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত গেইটেও ভাংচুর করা হয়।

জানা যায়, সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হলের ৫০৯ নাম্বার রুমে হলের সিট নিয়ে তর্কে জড়ায় ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শুভ। কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সিটকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বাধে।

পরে একপর্যায়ে গেইটের সামনে দুইপক্ষের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে এবং ভাংচুর করা হয়। 

সংঘর্ষের সময় ক্যামেরা হাতে সাংবাদিকেরা লাইভ করলে তাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে লাইভ বন্ধ করে দেয় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আসাবুজ্জমান এবং পরে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সাংবাদিকদের হেনস্থা ও ক্যামেরা বন্ধ করে দেন।

ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, হলের সিট নিয়ে তর্ক হয়েছে হলে। সে নিয়ে আমাদের গেইটের সামনে আটকিয়ে তারা মারমুখি হয়ে ওঠে।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আহত শিক্ষার্থীরা বলেন, মিউচুয়াল করতে গেলে গেইটের সামনে আমাদের ডেকে নিয়ে তারা মারতে আসে। যার ফলে এই ধরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ আমির শরীফ দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা যার যার সিট বরাদ্দ দিয়েছি তারাই সিট পাবে। এর বাইরে সুযোগ নাই। এই ঘটনার ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করব। 

সাংবাদিকদের হেনস্থার বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইলিয়াস প্রামাণিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, এই ঘটনায় খোঁজ খবর নিয়ে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডির কেউ মন্তব্য করেন নি। তারা বলেন, “ঘটনার মিমাংসার পরে আপনাদের সাথে কথা বলা হবে।”