২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ: [gtranslate]
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা যারা বিদেশে পড়াশোনা করেন, তাদের টিউশন ফি প্রেরণে উৎসে কর বসবে না। এ ব্যাপারে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, “ব্যাংকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের টিউশন ফি পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সেই অর্থ পাঠানোর সময় উৎসে কর কাটবে না।” এছাড়াও পেশাজীবী সংগঠনের চাঁদা, বিদেশের লিয়াজোঁ অফিস ও পণ্য উন্নয়নের জন্য পাঠানো অর্থে উৎসে কর দিতে হবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশে প্রেরিত টিউশন ফি ছাড়াও পাঁচটি অন্যান্য খাতে উৎসে কর কেটে রাখা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর কর্মকর্তারা মনে করছেন যে, “ডলার–সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক বিদেশে টিউশন ফি বাবদ ডলার পরিশোধে অনীহা দেখায়। এখন এই ডলারে টিউশন ফি পরিশোধে উৎসে কর কাটা হবে না। ফলে টিউশন ফির অর্থ পাঠাতে ভোগান্তি কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।”
এ ধরনের নীতির প্রয়োগ বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীদের যারা ভারত, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করে, তাদের উপকৃত করবে। বিদেশে পড়াশোনার জন্য প্রতি সেমিস্টারে শত শত ডলার পাঠাতে হয়। এ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা পাবেন এবং প্রেরণের প্রক্রিয়া সহজতর হবে।
এ ছাড়া বিদেশে পণ্য উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ এবং নিরাপত্তা জামানতের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রেও উৎসে কর দিতে হবে না।
