২৩ জুন থেকে অনলাইনে ক্লাস শাবিপ্রবিতে
- প্রকাশিত: ০৯:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
- / 27
বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়েছে, এবং সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নদীগুলোর পানি বেড়ে হাওরগুলোতে ঢুকেছে। রাতভর মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বন্যার আতঙ্কে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি প্রধান সড়কেও পানি জমেছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ভারি বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি মনে রেখে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন জানিয়েছেন, সিলেটের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৩ জুন থেকে সব ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক কবির হোসেন জানিয়েছেন, যেসব বিভাগে ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নতুন পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করবেন। ২৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস নিয়মিত চলবে।
এর আগে, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষ্যে ২৬ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ২১ ও ২২ তারিখ শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় ২৩ জুন রবিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে বন্যার কারণে ক্লাসগুলো সশরীরের পরিবর্তে অনলাইনে নেওয়া হবে।
এদিকে, সিলেটে গতকাল বুধবার সারাদিন বৃষ্টি হলেও রাতে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু এতে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে, ফলে আতঙ্ক বেড়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, তবে গতকাল রাতে বৃষ্টি হয়নি। সিলেটে আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টায় সুরমা ও কুশিয়ারার ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে বৃষ্টি কম হওয়া এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি কমার ফলে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টির পরিমাণের ওপর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নির্ভর করছে। পাহাড়ি ঢল নামার ফলে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
4o