চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হলটির ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঢাকা মেইলের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রেদোয়ান আহমেদকে মারধর ও সমকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এস এম মাহফুজের ফোনও কেড়ে নেন তারা। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হেনস্তার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শেখ হাসিনা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, চবির শেখ হাসিনা হলের মেয়েরা পেশাগত দায়িত্বপালনরত অবস্থায় একজন সাংবাদিকের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়া ও কয়েকজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখালেন। এই ধরনের কাজ ছাত্রলীগ করতো। আপনাদের ভেতরে সেই ছাত্রলীগের ছায়া দেখতে পেলাম।
ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, অভ্যুত্থানের পরে নতুন করে কেবল ছেলেদের হলগুলোতেই অ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের হলগুলোতে শুধু আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সামান্য কিছু নতুন শিক্ষার্থী উঠানো হয়। গতরাতে সাংবাদিকদের ওপর শেখ হাসিনা হলের মেয়েদের আক্রমণ, হেনস্তা এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে যে, তারা পুরোনো বলয়ে এখনো হলে অবস্থান করছে। আমরা জড়িতদের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসেন বলেন, গতরাতের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ও শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বসে যথাযথ সিন্ধান্ত নেব। আর সাংবাদিক মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।