ববি প্রতিনিধি:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য গঠিত আহবায়ক কমিটিতে চলছে পদত্যাগের হিড়িক।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ জন যুগ্ম আহবায়কসহ ১১জন ঐ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যায়। যারা পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ বেলাল, মো. রাশেদুল, জাকির হোসেন, রেদোয়ান প্যাদা ও তরিকুল ইসলাম। যুগ্ম সদস্য সচিব মুনহাসিম মোহাম্মদ শাহির খান, সংগঠক আবুল হাসান, সহ মুখপাত্র শারমিলা জামান সেঁজুতি। সদস্য অমরেশ মন্ডল অমর, মো. শাকিব মোল্লা ও আতাউর রহমান। তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারীরা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচভিত্তিক চেইন অব কমান্ড ফলো না করা, প্রকৃত বিপ্লবীদের পর্যাপ্ত প্রতিচ্ছবি ও প্রকৃত আন্দোলনকারীদের অন্তর্ভুক্ত না করায় তারা পদত্যাগ করেছেন৷

এছাড়াও পদত্যাগ করা এক সদস্য ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তার অনুমতি বা মতামত না নিয়েই আহবায়ক কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, আহবায়ক কমিটিতে সকলকে তাদের অনুমতি নিয়েই রাখা হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে কমিটিতে কাউকে রাখা হয়নি। সে সংগঠনে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল এবং তার অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

চেইন অব কমান্ড না মেনে কমিটি গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, কাদের দিয়ে সংগঠন চলবে, সংগঠন নিয়ে কাজ করার মানসিকতা কাদের মধ্যে রয়েছে এসকল বিষয় ও কার্যক্রম দেখে আহবায়ক কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। যদি চেইন অফ কমান্ডের দোহাই দিয়ে যারা কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনের জন্য তাদের পদবঞ্চিত করা হয় কিংবা উপযুক্ত পদ না দেওয়া হয় সেটা কখনো ইনসাফের হবে না।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক পত্রে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদকে আহবায়ক ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৬ মাসের জন্য আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।