বুটেক্স বিজনেস ক্লাবের অষ্টম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট সফলভাবে সম্পন্ন
- প্রকাশিত: ০৮:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 58
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) বিজনেস ক্লাবের উদ্যোগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এসকিউ স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্লাবটির অষ্টম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট। টেক্সটাইল শিল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সম্যক ধারণা দেওয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়ার মধ্যে সুদৃঢ় সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়। এ ভিজিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের ১৪ জন ক্লাব সদস্য অংশগ্রহণ করে।
টেকসই পন্থা অনুশীলনের দিক থেকে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে এসকিউ স্টেশন। এসকিউ স্টেশনের রয়েছে তিনটি ইউনিট- এসকিউ সেলসিয়াস, এসকিউ হিউস ও এসকিউ বিরিচিনা। আন্তর্জাতিক মানের লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশনের অধিকারী এই প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আয় ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং এখানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার মানুষ।
ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন বিভাগ- গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, নিটিং, ডাইং এবং গার্মেন্টস ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিট ঘুরে দেখে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, টেকসই উন্নয়নের নীতিমালা যেমন- সার্কুলার ইকোনমি, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুশাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে শিক্ষার্থীরা। স্বচ্ছ পরিচালনার জন্য কিনশিপ অ্যাপের মতো নতুন উদ্ভাবনার সাথেও পরিচিত হয় তারা। এই অ্যাপের মাধ্যমে কর্মীদের অভিযোগ ও মতামত গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট আয়োজন সম্পর্কে ক্লাবটির সভাপতি আনান সরকার ফিজা জানান, পরিবহন ও সমন্বয়ের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই ভিজিট আয়োজন করতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরও সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করা আরও সুগম হবে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয় না, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগকে সীমিত করে। এই প্রেক্ষাপটে, ক্লাবগুলোর এমন উদ্যোগকে সমর্থন করা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে, ভিজিটটা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে এরকম উদ্যোগ আরও এগিয়ে নেওয়ার আশা রাখি।
বুটেক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এসকিউ স্টেশনের সাসটেইনেবল লিড নাশিরুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখন টেকসই উৎপাদনকে একটি অপরিহার্য শর্ত করেছে। ভবিষ্যতের টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের এই পরিবর্তনের ধারাকে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে নিতে হবে।
মানবসম্পদ বিভাগের প্রশিক্ষক মালিহা বলেন, অন্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে আমরা কর্মীদের সুস্থতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের কল্যাণের প্রতি বেশি মনোযোগী। এটি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে সাহায্য করে।
এই ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিল্পখাতের বাস্তব চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ পেয়েছে। বুটেক্স বিজনেস ক্লাব ও ইন্ডাস্ট্রির অংশীদারদের সহযোগিতায় এই ধরনের উদ্যোগ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে ক্লাব সূত্রে জানা গেছে।