১০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বাকৃবিতে দেয়ালিকা ‘বহ্নিশিখা’

রিসালাত আলিফ, বাকৃবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ১১:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / 46

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা ‘বহ্নিশিখা’ প্রকাশ করেছে রোকেয়া গ্রন্থাগার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।দেয়ালিকায় বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কবি সুফিয়া কামালসহ দেশের বিভিন্ন নারী পথিকৃৎদের অবদান ফুটিয়ে তুলে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ওই দেয়ালিকাটির উদ্বোধন করেন বাকৃবির কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী। এসময় রোকেয়া গ্রন্থাগারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

দেয়ালিকা প্রকাশের উদ্যোগটির প্রশংসা জানিয়ে অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, ‘আমি নারী হিসেবে এখন যে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে কথা বলছি সে অধিকারটুকু হয়তো বাংলাদেশে একসময় ছিল না। নারীদের অধিকার আদায়ে তাই বেগম রোকেয়ার কথা না বললেই নয়। আগামী পঞ্চাশ বছর পরে হয়তো আমার মতো একজন নারী অন্যসুরে কথা বলে এই নারী দিবস উদযাপন করবে।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ এর প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, ১৯০৮ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কে নারী শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সমান বেতন নিশ্চিত ও কর্মঘন্টা কমানো সহ আরোও কিছু দাবিতে; যেটি পরবর্তীতে শ্রমিক আন্দোলন ও মে দিবসের বীজ বপন করেছিলো। নারীদেরকে তাদের অধিকার আদায়ে শুরু থেকেই সংগ্রাম করে আসতে হয়েছে। বর্তমান সময়েও আমরা দেখি ‘২৪ এর গনআন্দোলনে মেয়েদের বড় ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও আজকে দেশে যখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে তখন সবার আগে আক্রমন আসছে মেয়েদের উপরেই৷ প্রতি ৭২ ঘন্টায় দেশে এখন ৬৫ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। অনেক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীও দায়ী করছে সেই ধর্ষনের শিকার মেয়েকেই, করছে ভিক্টিম ব্লেমিং। এর পিছনের কারণও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাজব্যবস্থায় মেয়েদেরকে যেভাবে অব্জেক্টিফাই করে তুলে ধরা হচ্ছে এতে করে একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার চিন্তাটাই থাকছেনা। তাই নারীদের প্রতি সহিংসতার যদি নিরসন চাই, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে চাই তাহলে অবশ্যই এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে, নারীকে আগে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া নারী পুরুষ কারোর উপরেই বৈষম্যের নিরসন সম্ভব নয়।

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বাকৃবিতে দেয়ালিকা ‘বহ্নিশিখা’

প্রকাশিত: ১১:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা ‘বহ্নিশিখা’ প্রকাশ করেছে রোকেয়া গ্রন্থাগার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।দেয়ালিকায় বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কবি সুফিয়া কামালসহ দেশের বিভিন্ন নারী পথিকৃৎদের অবদান ফুটিয়ে তুলে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ওই দেয়ালিকাটির উদ্বোধন করেন বাকৃবির কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী। এসময় রোকেয়া গ্রন্থাগারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

দেয়ালিকা প্রকাশের উদ্যোগটির প্রশংসা জানিয়ে অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, ‘আমি নারী হিসেবে এখন যে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে কথা বলছি সে অধিকারটুকু হয়তো বাংলাদেশে একসময় ছিল না। নারীদের অধিকার আদায়ে তাই বেগম রোকেয়ার কথা না বললেই নয়। আগামী পঞ্চাশ বছর পরে হয়তো আমার মতো একজন নারী অন্যসুরে কথা বলে এই নারী দিবস উদযাপন করবে।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ এর প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, ১৯০৮ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কে নারী শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সমান বেতন নিশ্চিত ও কর্মঘন্টা কমানো সহ আরোও কিছু দাবিতে; যেটি পরবর্তীতে শ্রমিক আন্দোলন ও মে দিবসের বীজ বপন করেছিলো। নারীদেরকে তাদের অধিকার আদায়ে শুরু থেকেই সংগ্রাম করে আসতে হয়েছে। বর্তমান সময়েও আমরা দেখি ‘২৪ এর গনআন্দোলনে মেয়েদের বড় ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও আজকে দেশে যখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে তখন সবার আগে আক্রমন আসছে মেয়েদের উপরেই৷ প্রতি ৭২ ঘন্টায় দেশে এখন ৬৫ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। অনেক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীও দায়ী করছে সেই ধর্ষনের শিকার মেয়েকেই, করছে ভিক্টিম ব্লেমিং। এর পিছনের কারণও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাজব্যবস্থায় মেয়েদেরকে যেভাবে অব্জেক্টিফাই করে তুলে ধরা হচ্ছে এতে করে একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার চিন্তাটাই থাকছেনা। তাই নারীদের প্রতি সহিংসতার যদি নিরসন চাই, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে চাই তাহলে অবশ্যই এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে, নারীকে আগে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া নারী পুরুষ কারোর উপরেই বৈষম্যের নিরসন সম্ভব নয়।