০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের আসর থেকে সোজা ফুটবল মাঠে এসে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানান বর

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • / 48

বিয়ের আসর থেকে ফুটবল মাঠে বর

গোলবারের নীচে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, গতকাল জুমার পরে ওনার বিয়ে ছিলো।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদের কুমিল্লা জিলাস্কুলের সকল ব্যাচের ছেলেদের নিয়ে একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়, যার নাম CZS Super Cup. এবারের ফাইনালের অন্যতম টিম FC Skylarks, যার গোলকিপার তিনি।

দেড়টায় জুমা, চারটায় ম্যাচ। মাঝের এই আড়াই ঘন্টায় বিয়ের মত আনুষ্ঠানিকতা সেরে আসা অসম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে আসতে আসতে তাই ম্যাচ কিছুক্ষণ লেট হলো। বিয়ের আসর থেকে তাড়াতাড়ি কবুল বলে বিয়ের জামাকাপড়েই পাত্র মাঠে হাজির। মাঠেই ড্রেস আপ চেঞ্জ করে গোলবারের নীচে দাঁড়িয়ে গেল।

মূলসময়ে ১-১ গোলে ড্র হবার পরে এক্সট্রা টাইমেও খেলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে গড়ালো ম্যাচ। ট্রাইব্রেকারে ৩-১ গোলে Hostel FC কে হারিয়ে পাত্রের দল FC Skylarks চ্যাম্পিয়ন! ট্রাইব্রেকারে জয়ের অন্যতম কারিগর আজকের বিয়ে-পালানো গোলকিপার!

বিয়ের আসর থেকে দ্রুত পলায়ন করা এই বরটি হলেন মুনতাসির রহমান মাহিন।

তার সতীর্থ ফায়াজ বিন হাসান বলেন ,”এই ছেলের কারনে আমি গত ৫/৬ সিজনে বেঞ্চে ঘুমায় ঘুমায় কাটাইছি। একবার এমনও হইছে যে মাহিন চাকরিতে ঢাকা চলে গেছে, আমি মনে মনে খুশি আজকে মনে হয় নামবো, কিন্তু মাঠে এসে দেখি চাকরিতে কেমনে কেমনে ম্যানেজ করে আমার আগে এসে বসে আছে। যে কয়টা ম্যাচ আমি খেলছি, ওইগুলাতেও “থাক কান্দিস না, নাম তুই” বলে মাহিন গ্লাভস দিয়ে দিছিলো এবং সারাক্ষন মাঠে গোলপোস্টের পিছন থেকে ডাইরেকশন দিচ্ছিলো।তাই আজকে যখন অনেক বছরের প্রেম শেষে বিয়ে করলো আর কবুল বলে দৌড়ায় মাঠে ফাইনাল খেলতে চলে আসলো, আমার কাছে খুব বেশি অবাক লাগে নাই। ওয় তো এমনই।একই দিনে বিয়ে করছে, বিয়ার আসর থেকে ফাইনাল খেলতে চলে আসছে এবং এসে টাইব্রেকার জিতাইছে, এর থেকে সুন্দর দিন মানুষের জীবনে আসতে পারে বলে মনে হয় না। জীবনে যতগুলা জিনিস ভালোবাসে, সব একসাথে একই দিনে পাইছে”।


লেখকঃ আবু মাহিয়ান মোঃ আদিব

শেয়ার করুন

বিয়ের আসর থেকে সোজা ফুটবল মাঠে এসে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানান বর

প্রকাশিত: ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

গোলবারের নীচে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, গতকাল জুমার পরে ওনার বিয়ে ছিলো।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদের কুমিল্লা জিলাস্কুলের সকল ব্যাচের ছেলেদের নিয়ে একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়, যার নাম CZS Super Cup. এবারের ফাইনালের অন্যতম টিম FC Skylarks, যার গোলকিপার তিনি।

দেড়টায় জুমা, চারটায় ম্যাচ। মাঝের এই আড়াই ঘন্টায় বিয়ের মত আনুষ্ঠানিকতা সেরে আসা অসম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে আসতে আসতে তাই ম্যাচ কিছুক্ষণ লেট হলো। বিয়ের আসর থেকে তাড়াতাড়ি কবুল বলে বিয়ের জামাকাপড়েই পাত্র মাঠে হাজির। মাঠেই ড্রেস আপ চেঞ্জ করে গোলবারের নীচে দাঁড়িয়ে গেল।

মূলসময়ে ১-১ গোলে ড্র হবার পরে এক্সট্রা টাইমেও খেলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে গড়ালো ম্যাচ। ট্রাইব্রেকারে ৩-১ গোলে Hostel FC কে হারিয়ে পাত্রের দল FC Skylarks চ্যাম্পিয়ন! ট্রাইব্রেকারে জয়ের অন্যতম কারিগর আজকের বিয়ে-পালানো গোলকিপার!

বিয়ের আসর থেকে দ্রুত পলায়ন করা এই বরটি হলেন মুনতাসির রহমান মাহিন।

তার সতীর্থ ফায়াজ বিন হাসান বলেন ,”এই ছেলের কারনে আমি গত ৫/৬ সিজনে বেঞ্চে ঘুমায় ঘুমায় কাটাইছি। একবার এমনও হইছে যে মাহিন চাকরিতে ঢাকা চলে গেছে, আমি মনে মনে খুশি আজকে মনে হয় নামবো, কিন্তু মাঠে এসে দেখি চাকরিতে কেমনে কেমনে ম্যানেজ করে আমার আগে এসে বসে আছে। যে কয়টা ম্যাচ আমি খেলছি, ওইগুলাতেও “থাক কান্দিস না, নাম তুই” বলে মাহিন গ্লাভস দিয়ে দিছিলো এবং সারাক্ষন মাঠে গোলপোস্টের পিছন থেকে ডাইরেকশন দিচ্ছিলো।তাই আজকে যখন অনেক বছরের প্রেম শেষে বিয়ে করলো আর কবুল বলে দৌড়ায় মাঠে ফাইনাল খেলতে চলে আসলো, আমার কাছে খুব বেশি অবাক লাগে নাই। ওয় তো এমনই।একই দিনে বিয়ে করছে, বিয়ার আসর থেকে ফাইনাল খেলতে চলে আসছে এবং এসে টাইব্রেকার জিতাইছে, এর থেকে সুন্দর দিন মানুষের জীবনে আসতে পারে বলে মনে হয় না। জীবনে যতগুলা জিনিস ভালোবাসে, সব একসাথে একই দিনে পাইছে”।


লেখকঃ আবু মাহিয়ান মোঃ আদিব