০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কুবিতে বৈশাখী মেলার আয়োজন

সুদীপ্ত সাহা সময়, কুবি প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: ১০:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 80

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পাঁচ বছর পর আবারও বৈশাখী মেলা হতে যাচ্ছে। আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ও বাংলা ১৪৩২ সনকে বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী উৎসবের। ২০১৯ সালের পর ২০২০ সালে মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে আয়োজন হয়নি এই উৎসব। পরবর্তীতে ২০২১, ২২, ২৩ এবং ২৪ সালে রোজা এবং ঈদের বন্ধের কারণে আয়োজন হয়নি বৈশাখী মেলার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আয়োজিত হতে যাওয়া মেলা নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।

দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা আয়োজন। সকাল সাঠে ৯টায় শুরু হবে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। এরপর বিভিন্ন খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও বৈশাখের আয়োজন নিয়ে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তওহীদ হোসেন সানি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। এটি সত্যিই আনন্দের ও আবেগের বিষয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আমরা বৈশাখের উজ্জ্বল উৎসব একত্রে উপভোগ করেছিলাম। মাঝে কয়েক বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং পবিত্র মাহে রমজানের কারণের উদ্‌যাপন করা সম্ভব হয়নি। পহেলা বৈশাখ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও বহুমাত্রিক ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশের এক অনন্য উপলক্ষ্য। এদিনটি বাঙালির জীবনে এক বিশেষ সজীবতা ও প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে আসে, যেখানে লোকজ শিল্প, সংগীত, পোশাক, খাদ্য ও আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের শেকড়কে নতুন করে অনুভব করি।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও বেপরোয়া আচরণে আলোচনায় পবিপ্রবির ড্রাইভার বেলাল

আইন বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজ বলেন, বাঙালির জাতীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনের অন্যতম প্রধান উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির যে বিকাশ সাধিত হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বাংলা বর্ষবরণ। কুবিতে আসার পর থেকে শুনে এসেছি ‘পহেলা বৈশাখ’ বা ‘বাংলা  বর্ষবরণ ‘ এখানকার সিগনেচার অনুষ্ঠান। তবে কোভিড ও ঈদের ছুটির কারণে এ পর্যন্ত পহেলা বৈশাখের উৎসব আয়োজন দেখা হয়নি। বিগত ৫-৬ বছর পর এবারই প্রথম বর্ষবরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আশা করি, উৎসব সুন্দর ও সফলভাবে পরিসমাপ্তি ঘটবে। ‘বাংলা নববর্ষ ‘ উদ্‌যাপনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে বেড়ে উঠবে সাংস্কৃতিক ও সম্প্রীতির পরিবেশ।

এবিষয়ে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ২০১৯ সালের পর করোনা ভাইরাস এবং পরবর্তীতে রোজা ও ঈদের বন্ধের কারণে দীর্ঘদিন পহেলা বৈশাখ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্‌যাপন করা সম্ভব হয়নি। এবছর আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলা নতুন বর্ষ বরণের আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনেরা এই আয়োজনে উপস্থিত হয়ে বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ করে নিবেন। আমরা এই আহবানই করছি।

পাবলিকিয়ান টুডে / এম

শেয়ার করুন

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কুবিতে বৈশাখী মেলার আয়োজন

প্রকাশিত: ১০:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পাঁচ বছর পর আবারও বৈশাখী মেলা হতে যাচ্ছে। আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ও বাংলা ১৪৩২ সনকে বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী উৎসবের। ২০১৯ সালের পর ২০২০ সালে মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে আয়োজন হয়নি এই উৎসব। পরবর্তীতে ২০২১, ২২, ২৩ এবং ২৪ সালে রোজা এবং ঈদের বন্ধের কারণে আয়োজন হয়নি বৈশাখী মেলার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আয়োজিত হতে যাওয়া মেলা নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।

দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা আয়োজন। সকাল সাঠে ৯টায় শুরু হবে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। এরপর বিভিন্ন খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও বৈশাখের আয়োজন নিয়ে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তওহীদ হোসেন সানি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। এটি সত্যিই আনন্দের ও আবেগের বিষয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আমরা বৈশাখের উজ্জ্বল উৎসব একত্রে উপভোগ করেছিলাম। মাঝে কয়েক বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং পবিত্র মাহে রমজানের কারণের উদ্‌যাপন করা সম্ভব হয়নি। পহেলা বৈশাখ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও বহুমাত্রিক ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশের এক অনন্য উপলক্ষ্য। এদিনটি বাঙালির জীবনে এক বিশেষ সজীবতা ও প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে আসে, যেখানে লোকজ শিল্প, সংগীত, পোশাক, খাদ্য ও আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের শেকড়কে নতুন করে অনুভব করি।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও বেপরোয়া আচরণে আলোচনায় পবিপ্রবির ড্রাইভার বেলাল

আইন বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজ বলেন, বাঙালির জাতীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনের অন্যতম প্রধান উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির যে বিকাশ সাধিত হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বাংলা বর্ষবরণ। কুবিতে আসার পর থেকে শুনে এসেছি ‘পহেলা বৈশাখ’ বা ‘বাংলা  বর্ষবরণ ‘ এখানকার সিগনেচার অনুষ্ঠান। তবে কোভিড ও ঈদের ছুটির কারণে এ পর্যন্ত পহেলা বৈশাখের উৎসব আয়োজন দেখা হয়নি। বিগত ৫-৬ বছর পর এবারই প্রথম বর্ষবরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আশা করি, উৎসব সুন্দর ও সফলভাবে পরিসমাপ্তি ঘটবে। ‘বাংলা নববর্ষ ‘ উদ্‌যাপনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে বেড়ে উঠবে সাংস্কৃতিক ও সম্প্রীতির পরিবেশ।

এবিষয়ে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ২০১৯ সালের পর করোনা ভাইরাস এবং পরবর্তীতে রোজা ও ঈদের বন্ধের কারণে দীর্ঘদিন পহেলা বৈশাখ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্‌যাপন করা সম্ভব হয়নি। এবছর আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলা নতুন বর্ষ বরণের আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনেরা এই আয়োজনে উপস্থিত হয়ে বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ করে নিবেন। আমরা এই আহবানই করছি।

পাবলিকিয়ান টুডে / এম