শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় জবি মানবাধিকারের প্রতিবাদ
- প্রকাশিত: ১১:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
- / 330
সম্প্রতি ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
রবিবার (১৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুনঃ ডিআইইউসাসের সঙ্গে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শুভেচ্ছা বিনিময়
মানববন্ধনের সঞ্চালনা করেন দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, কার্যকরী সদস্য ওমর ফারুক শ্রাবণ, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজী মারুফসহ অনেকে।
দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। অথচ পুলিশ তাদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের সহপাঠী হুসাইনকে ডিবি কার্যালয়ে ২৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে—যা এক ধরনের গুম। এসব ঘটনার আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
কার্যকরী সদস্য ওমর ফারুক শ্রাবণ বলেন, “আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তির ১৯ ও ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার আছে। কিন্তু সেই অধিকার হরণ করে আমাদের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়েছে।”
নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, “আমাদের শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে—এটা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। উপদেষ্টার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আর হুসাইনকে যেভাবে গুম করে রাখা হয়েছে, তা ফ্যাসিবাদের পরিচয় বহন করে। আমরা এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো।”
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর এমন আচরণ শুধু অনৈতিকই নয়, বরং এটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরণেরও প্রমাণ। একদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহযোগিতা, আর অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে দমন—এটা সত্যিই দুঃখজনক।”
সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা বা দুঃখপ্রকাশ আসেনি। শিক্ষকদের লাঞ্ছনা করা হয়েছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এসব ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”